নয়াদিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রাণ কেড়েছে দেশের ৪২০ জন ডাক্তারের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লিরই ১০০ জন চিকিৎসক। এমনই তথ্য দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।


অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, বিহারে করোনায় ডাক্তার মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ৯৬ জন। উত্তরপ্রদেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে মারা গিয়েছেন অনেক চিকিৎসক। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৪১ জন। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দেশে চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা ঘোষণা করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, সেই সময় ২৭০ জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। 


এই তালিকায় নাম ছিল আইএমএ প্রেসিডেন্ট কেকে আগরওয়ালের। সোমবারই মারা যান ৬৫ বছরের এই চিকিৎসক। মৃত্যুর আগের দিনও সংক্রমণ রুখতে ভিডিও বার্তা দেন তিনি। যেখানে আগরওয়াল বলেন, ''কেউ থাকা না থাক, 'দ্য শো মাস্ট গো অন'। আমাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে।'' কোভিড প্রতিরোধে দুটো ভ্যাকসিনই নেওয়া ছিল আগরওয়ালের। তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি।


মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড-১৯ রেজিস্ট্রি বলছে, করোনার প্রথম ঢেউতে দেশে মারা গিয়েছেন ৭৪৮ জন চিকিৎসক। ডাক্তারদের মৃত্যুর বিষয়ে আইএমএ-র প্রেসিডেন্ট জেএ জয়লাল বলেছেন, ''করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে মারাত্মক ক্ষতিকর। যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁদের ঝুঁকি অনেক বেশি।''


পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩.৫লক্ষ সদস্যের তথ্য রাখে এই চিকিৎসক সংগঠন। যদিও দেশে প্রায় ১২ লক্ষের বেশি চিকিৎসক রয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২,৫৭,২৯৯ জন নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৪১৯৪ জন।


সম্প্রতি করোনা রুখতে স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্যের সময় কোভিডে মৃতদের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসীর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ডাক্তার ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি বলছে, কিছুটা হাল শুধরেছে রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি। নেমে এসেছে কোভিড পজিটিভিটি রেট।