শ্রীনগর: সোমবার রাজনৈতিক নেতাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ও রাজ্যের মর্যাদা খারিজ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টুকরো করার ঘোষণার পর থেকে আটক ছিলেন তাঁরা। আজ ছাড়া পাওয়া নেতারা ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) ও কংগ্রেসের। পিটিআই জানিয়েছে, এঁরা হলেন ইশফাক জব্বর, গুলাম নবি ভাট, বসির মীর, জহুর মীর, ইয়াসির রেশি।

এর আগে গত ২৫  নভেম্বর দুজন রাজনৈতিক নেতা, পিডিপির দিলওয়ার মীর ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ন্যাশনালিস্ট-এর গুলাম হাসান মীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রশাসন জানিয়েছিল, সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ও জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের গত ৫  আগস্টের সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে তাল রেখেই আটক রাজনীতিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

বর্তমানে শ্রীনগরে বিধায়ক হস্টেলে বিভিন্ন মূলধারার রাজনৈতিক দলের প্রায় ৩৩ জন নেতাকে এখনও আটক রাখা হয়েছে। এঁদের প্রথমে সাব জেল হিসাবে সাজিয়ে তোলা সেন্টুর হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে  সরানো হয় বিধায়ক হস্টেলে। এঁদের বন্দি করা হয় ৫ আগস্টের পদক্ষেপের আগেই। সরকার গোটা রাজ্যেই ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ সহ সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর বিধিনিষেধ জারি করে। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ তোলা হচ্ছে।

এখনও যে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের অন্যতম এনসির দুই শীর্ষ নেতা ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লা, পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি ও জম্মু কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ গনি লোন। ফারুককে তাঁর  গুপকার রোডের বাসভবনে আটকে রাখা হয়েছে। ওমর বন্দি রয়েছেন হরি নিবাসে। মেহবুবাকে চশমাশাহি হাটে রাখা হলেও সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্রে এক সরকারি ভবনে।