চণ্ডীগড় : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই চিন্তা বাড়িয়েছে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাস। ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। হরিয়ানায় এখনও পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার একথা জানান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত ৬৫০ জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও পর্যন্ত হরিয়ানায় ৭৫০-এর বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। ৬৫০ জনের চিকিৎসা চলছে।
তিনি জানান, এই ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের জোগান দিচ্ছে সরকার। কিছু ইঞ্জেকশন সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ৬ হাজার ভায়াল পেয়েছিলাম। আগামী দুই দিনের মধ্যে আরও ২ হাজার পেয়ে যাব। এছাড়া আরও ৫ হাজার ভায়ালের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ আধিকারিকদের সরকারি হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ করতে বলেছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দেরি না করে যাতে সময়ে রোগীর কাছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ পৌঁছে যায় তা দেখতে বলেছিলেন। নজর দিতে বলেছিলেন ইঞ্জেকশন ও অন্যান্য ওষুধের ঘাটতি মেটানোর।
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহ ধরে এই রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মুকোরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের তরফে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১২ হাজার Amphotericin-B ইঞ্জেকশনের অনুরোধ জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হরিয়ানা সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে নোটিফায়েড ডিজিজ ঘোষণা করেছে। এজাতীয় সংক্রমণের হদিশ পেলে সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানানোর কথাও বলা হয়।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই ছাত্রাকঘটিক সংক্রমণের মোকাবিলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড সুগার, কোভিডের চিকিৎসার সময় স্টেরয়েডের অপব্যবহার-এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার এই রোগের চিকিৎসায় ওযুধের সরবরাহ বাড়িয়েছে। অনেক রাজ্যই এই রোগকে মহামারী বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।