বালাশোর, ওড়িশা: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর চলল মালগাড়ি। ২টি লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক, দাবি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। বালেশ্বরের বাহানাগায় ডাউন লাইনে চলল ট্রেন, তারপরে আপ লাইনেও চলেছে রেল। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে চালানো হল মালগাড়ি। ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে, জানালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।


 






 






 


দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েইছে। মৃতের পরিসংখ্যান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রবিবার বিকেল পর্যন্ত বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছিল (Odisha Train Accident)। কোনও কোনও সূত্র আবার ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলা দাবি করে। কিন্তু রাতে সেই সংখ্যা সংশোধন করল ওড়িশা সরকার। তাদের দাবি, ২৯৫ বা ২৮৮ নয়, ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫  জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত (Odisha Death Toll)।


ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের মধ্যে রয়েছে বহু রাজ্যের বাসিন্দা। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছে রাজ্য। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা, তার সঙ্গে আরও ৩ মাস সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। যাঁরা মেন্টাল ট্রমায় আছেন, তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে সাহায্যের ঘোষণা। পুরনো রেল দুর্ঘটনা নিয়েও পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, 'আপনারা এখন আমাকে, নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদকে আক্রমণ করছেন? আপনাদের সময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আমরা তো কখনও বলিনি। সম্পূর্ণ গাফিলতির জন্য এই দুর্ঘটনা, সমন্বয়ের অভাব ছিল। এত মানুষের মৃত্যুর পরও ক্ষমা চাননি।'


ট্যুইট তরজা:
গতকাল একটি অডিও ক্লিপ ট্যুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত কথোপকথন ছিল। সেই অডিও ক্লিপে নিজেদের রেল আধিকারিক বলে জানিয়েছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। ট্যুইটে কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, 'সিগন্যাল ছিল মেনলাইনের, পয়েন্ট ছিল লুপলাইনে।' অডিও ক্লিপে যে ২জনের কথোপকথন শোনা যাচ্ছে, তাঁদের রেলের দুই কর্তার বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ট্যুইটারে লেখেন, 'অডিওর সত্যতা যাচাই হয়নি।' 'তবে, বড়সড় গোলমাল আছে, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ' বলেও দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, 'তৃণমূলের মুখপাত্র কীভাবে পেলেন অডিও ক্লিপ, সেটাও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।' তিনি আরও বলেন, 'রেলের দুই আধিকারিকের কথোপকথন তাঁরা কেউ রেকর্ড করেননি। ফোন ট্যাপ করে সেই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে, এটাও তদন্তের আওতায় রাখা উচিত।'


আরও পড়ুন- অফিসের কাজের চাপে একঘেয়ে জীবন, কীভাবে থাকবেন হাসিখুশি-প্রাণোচ্ছ্বল? রইল সহজ কিছু টিপস