Office Work Pressure: অফিসের কাজ নিয়ে চাপে থাকেন না, এম লোকের সংখ্যা নেহাতই হাতেগোনা। বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই অফিসের সমার্থক শব্দ হল স্ট্রেস (Mental Stress) বা মানসিক চাপ। এর থেকে অনেক সময়েই আমাদের সঙ্গী হয় অবসাদ। কিন্তু অফিসের কাজ সেই সঙ্গে চাপও বেশ হেসেখেলে সামলে দেওয়া যায়। প্যানিক না করে, আতঙ্কিত না হয়ে বরং নিজেকে একটু নিয়মবদ্ধ করতে হবে। নিয়মমাফিক চলতে পারলেই অফিসের কাজ আর সমস্যাজনক বলে মনে হবে না, একঘেয়ে লাগবে না। বরং কমবে চাপ। 


অফিসের কাজের চাপ, সঙ্গে দোসর স্ট্রেস- এইসব কমাতে কী কী করবেন?


অনেক সময়েই আমরা অফিসের কাজ, অফিসে কথা বাড়ি এসেও আলোচনা করতে থাকি। আবার অনেক সময় অফিসের চাপের কারণে মেজাজ খারাপ করে পরিবারের লোকেদের উপর চেঁচামেচি করে ফেলি। নিজের জন্য নিয়ম তৈরি করুন, বাড়ি এসে অফিসের কথা বলবেন না। একদিনে এই অভ্যাস করা সম্ভব নয়। তাই ধীরে ধীরে অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও কাজ নিয়ে বসতে হতে পারে। কিন্তু সাধারণ ভাবে এটাকেই দৈনন্দিন জীবনের নিয়ম করে ফেলবেন না। 


কাজ ফেলে রেখে পরে করবেন, এটা ভাববেন না। প্রয়োজনে নিজের জন্য রুটিন তৈরি করুন। কাজ শেষ করার ডেডলাইন বানিয়ে নিন। সময়ের কাজ সময়ে করে নিলে পরে আর চাপ বাড়ে না। তাই বসের দেওয়া কাজ হোক বা অন্য কিছু, সময়ে শেষ করে নিন। নাহলে শেষমুহূর্তে তাড়াহুড়ো হতে পারে, ভুলও হতে পারে।


অফিসে কাজে মাঝে সুযোগ থাকলে একটু বিরতি নিন। এই সময় সম্ভব হলে অফিসের মধ্যেই একটু হাঁটাচলা করে নিতে পারেন। খেতে পারেন এক কাপ চা কিংবা কফি। কোনও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলে এড়িয়ে না গিয়ে কথা বলে নিন। অফিসের সমস্যার কথা সহকর্মীর সঙ্গেই ভাগ করে নিন। তবে তার আগে অবশ্যই পরখ করে নিন ওই ব্যক্তি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য কিনা।


অফিসের কোনও কাজের ডেডলাইন থাকবে বা জটিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হলে সেইসব কাজ ভালভাবে শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটান। ভোজনরসিক হলে ভাল খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও ভাল গান শুনুন, সিনেমা দেখতে যান বা কিছু পড়ুন। মোট কথা হল যা করলে আপনার মন ভাল লাগবে, চাপ কমবে সেটাই করা দরকার। 


আরও পড়ুন- গরমের মরসুমে ঘামের কারণে চুলের চিটচিটে ভাব দূর করবেন কীভাবে?