কলকাতা: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনে বারবার সংবিধান রক্ষার প্রসঙ্গ তুলছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, এই আইন সংবিধানের মূল ধারা বা স্পিরিটের পরিপন্থী। তাঁরা সওয়াল করছেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে ধর্মীয় পরিচয়ের মাপকাঠিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা নেই সংবিধানে। কিন্তু সিএএ-তে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণ নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে ভারতে আসা শুধুমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, শিখরাই এদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন, মুসলিমরা নন। এই প্রেক্ষাপটে এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স যৌথ সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, সিএএ কি সংবিধানের মূল ধারার পরিপন্থী। ৫৩ ‘হ্যাঁ’ বলেছেন, ৪৬ শতাংশ বলেছেন ‘না’। ১ শতাংশ বলেছেন, জানি না বা বলতে পারব না।
অন্যদিকে শাসক শিবির থেকে বারবার বলা হচ্ছে, বিরোধীরা সিএএ, এনআরসি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এই অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীদের। কিন্তু সমীক্ষায় বেশিরভাগ মানুষ, ৫১ শতাংশ শাসক দলের অভিযোগে সায় দেননি। তবে ৪২ শতাংশ জনগণকে বিরোধীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ সমর্থন করেছেন। ৭ শতাংশ জানি না বা বলতে পারব না বলে জানিয়েছেন।
পাশাপাশি সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলন যেভাবে হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে, ট্রেন-বাস জ্বালানো, ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে, তা সমর্থন করেননি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতদাতা। ৬৮ শতাংশ আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি করার তীব্র বিরোধী। ৯ শতাংশ বলেছেন, জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা সমর্থনযোগ্য। তবে ২৩ শতাংশ এক্ষেত্রে স্পষ্ট মতামত দিতে পারেননি।
এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স যৌথ সমীক্ষায় ৫৩ শতাংশের মত, সিএএ সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
13 Jan 2020 08:44 PM (IST)
শাসক শিবির থেকে বারবার বলা হচ্ছে, বিরোধীরা সিএএ, এনআরসি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এই অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীদের। কিন্তু সমীক্ষায় বেশিরভাগ মানুষ, ৫১ শতাংশ শাসক দলের অভিযোগে সায় দেননি। তবে ৪২ শতাংশ জনগণকে বিরোধীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ সমর্থন করেছেন।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -