নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে বড়সড় তথ্য সামনে আনল মার্কিন সংবাদপত্র নিউজউইক। এই সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঘটনায় চিনের প্রায় ৬০ জন সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই ঘটনায় ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। কিন্তু চিন তাদের পক্ষের হতাহতের তথ্য গোপনই রেখেছে। এরইমধ্যে মার্কিন ওই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই সংঘর্ষে চিনের ৬০ জনের মতো সেনার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
ভারতীয় সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র আগ্রাসনের মোক্ষম জবাব দিয়েছিল। গালওয়ানে এই ঘটনার পর চিন খেপে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক টপ ও হেলমেট টপের আশেপাশে গতিবিধি বাড়িয়েছে চিনা সেনা। উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে চিনের শিবির দেখা গিয়েছে।
ফিঙ্গার-৪ এলাকায় মোতায়েন চিনা সেনাদের ওপর নজরদারি রাখতে পার্বত্য শৃঙ্গ ও কৌশলগত ঘাঁটিগুলিতে অতিরিক্ত সেনা ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠিয়েছে ভারতীয় সেনা।
প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে ফিঙ্গার-৪ থেকে ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত চিনের সেনা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু উচ্চ শৃঙ্গগুলি ভারতীয় সেনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই চিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
ফিঙ্গার এলাকা নিয়ে চিন অনড় অবস্থান নিয়েছে। তারা ফিঙ্গার-৪ থেকে পিছু হঠতে নারাজ। সূত্রের খবর, চিনের দাবি, ফিঙ্গার-৮ থেকে ফিঙ্গার-৫ পর্যন্ত তারা ১৯৯৯-এ সড়ক তৈরি করেছিল। তাই এই এলাকা তাদের।
ভারত বলেছে, চিনের এই কার্যকলাপ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র শান্তি ও স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে। কেননা, চলতি উত্তেজনার আগে চিনের সেনা ফিঙ্গার-৮ এর পিছনে সিরজেপ ও খুরনার ফোর্টে মোতায়েন থাকত।
ফিঙ্গার ৫ পর্যন্ত শিবির তৈরি করে চিন এলএসি-র স্থিতাবস্থায় বদল ঘটানোর চেষ্টা করেছে। শান্তি সমঝোতা অনুসারে, দুই দেশেই সম্মতি ছাড়া কোনও ধরনের বর্ডার ফর্টিফিকেশন করতে পারবে না। চিন এই সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে।