নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল দিল্লিতে যে ৬৮ বছর বয়সি মহিলার মৃত্যু হয়েছে, আজ ডাক্তারদের তদারকিতে এখানকার নিগমবোধ ঘাটের সিএনজি চুল্লিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তিনি ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় বলি। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম বলি কর্নাটকের ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ। ১০ মার্চ মারা যান তিনি। সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।
আজ রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ডাক্তাররা ও দিল্লি পুরসভার লোকজন গোটা শেষকৃত্য প্রক্রিয়া তদারকি করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যে ওই মহিলার দেহ থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা কীভাবে সুনিশ্চিত করতে হবে, সে ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন চান চুল্লির কর্মীরা। এ নিয়ে শেষকৃত্যে কয়েক ঘন্টা দেরি হয়।
ওই চুল্লির শেষকৃত্য পরিচালনা করে নিগমবোধ ঘাট সঞ্চালন সমিতি। তাদের তরফে সুমন গুপ্তা বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আমাদের প্রথমে দিল্লি পুরসভা, পরে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ চাইতে হয়। তারা জানায়, সিএনজি ব্যবহার করে শেষকৃত্য করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া দেখতেও আসেন প্রশাসনের লোকজন।
শুক্রবার ওই বৃদ্ধার মৃত্যু যে করোনাভাইরাসেই হয়েছে, তা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লোকজন। তাঁর ছেলে সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফেরেন। বিদেশে থাকাকালে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হন। ছেলের থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটে মহিলারও। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, পরীক্ষায় তাঁর কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রমাণিত হয়। তাঁকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের জেরে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় তাঁর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পজিটিভ কেসের সঙ্গে যোগসূত্র ছিল মহিলার। তাঁর ছেলে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে ফেরেন। প্রথমে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাইরের লক্ষণগুলি দেখা যায়নি। যদিও একদিন পর তাঁর জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ ধরা পড়ে। ৭ মার্চ তিনি রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে আসেন।