শ্রীনগর: কাশ্মীরের বারামুলার সোপোর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পোস্টার মেরে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৮ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা। সম্প্রতি সোপোর সহ কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় একাধিক পোস্টার দেখা যায় যাতে ‘গণ কার্ফু’ পালনের ডাক দিয়ে জনসাধারণকে গণ ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি কার্যকর করতেও বলা হয়। এর মধ্যেই গত সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদীরা সোপোরের বড় ফল ব্যবসায়ী হামিদুল্লাহ রাঠেরের বাড়িতে চড়াও হয় দুজন, তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য। তাঁকে সেখানে না পেয়ে গুলিবৃষ্টি করে তারা। তাঁর আড়াই বছরের নাতনি আসমা জান সহ পরিবারের ৪জন জখম হয়। মেয়েটি সঙ্কটজনক।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাজাদ মির ওরফে হায়দার নামে এক সক্রিয় স্থানীয় জঙ্গি ও তার দুই সঙ্গী মুদসসর পন্ডিত ও আসিফ মকবুল বাটের হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়া পোস্টার সাঁটা হয়েছিল। এরা সবাই লস্করের সঙ্গে যুক্ত। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা হল আজিজ মির, ওমর মির, তৌসিফ নজর, ইমতিয়াজ নজর, ওমর আকবর, ফৈজান লতিফ, দানিস হাবিব ও শওকত আহমেদ মির। ওই পোস্টার ছাপা ও লাগানোয় ব্যবহৃত কম্পিউটার ও আরও কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডে ওই সন্ত্রাসবাদীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন মহরমের শোভাযাত্রা থেকে বিক্ষোভ ছড়ানোর আশঙ্কায় কাশ্মীর উপত্যকার নানা জায়গায় কার্ফুসদৃশ বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন। কাঁটাতারের বেড়া বসিয়ে লালচক ও আশপাশের এলাকায় ঢোকার সব মোড় বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তাবাহিনীকে।