একটা মজা থেকেই সব অন্ধকার হওয়ার জোগাড়। এবার ওড়িশা থেকে আরও একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এলো। যেটি ওড়িশার কান্ধামাল জেলার ফিরিঙ্গিয়া ব্লকের সালাগুড়ার সেবাশ্রম স্কুলের ঘটনা। যেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ৮ জন ছাত্রের চোখে ফেভিকুইক লাগিয়ে দেয় তাদেরই কিছু সহপাঠীরা। যার ফলে ছাত্রদের চোখ আটকে গিয়েছে। তাঁরা আর খুলতে পারছে না। গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি সেবাশ্রম স্কুলের হোস্টেলে ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে সেবাশ্রম স্কুলের ছাত্ররা যখন হোস্টেলে ঘুমাচ্ছিল, তখন কিছু সহপাঠী ৮ জন ছাত্রের চোখে ফেভিকুইক লাগিয়ে দেয়। যার ফলে ছাত্রদের চোখ আটকে যায়। চোখ আটকে যাওয়ার কারণে, ছাত্ররা চোখ খুলতে পারছিল না। এরপর তাদের প্রথমে গোচ্ছাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফুলবনী জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে একজন ছাত্রকে সুস্থ হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, আরও সাতজন এখনও চিকিৎসাধীন।
বর্তমানে, এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। আসলে ফেভিকুইক এতটাই আঠালো যে, সেটি শিশুদের চোখে আটকে যাওয়ার পর তাঁরা চোখ খুলতে পারছে না।
চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন আঠালো পদার্থ চোখের গুরুতর ক্ষতি করেছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় ভয়ংকর পরিণতি প্রতিরোধ করা গিয়েছে। আট জনের মধ্যে সাত ছাত্র এখনও হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে, আঠালো পদার্থের কারণে ছাত্রদের চোখের ক্ষতি হয়েছে। তবে সময়মতো চিকিৎসার ফলে গুরুতর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর, জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহুকে বরখাস্ত করেছে। কেন ফেভিকুইক শিক্ষার্থীদের চোখে লাগিয়ে দিয়েছিল ছাত্ররা তা জানতে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
হস্টেলের ভেতরে কীভাবে এমনটা ঘটল তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল বোর্ড। ওয়ার্ডেন, সুপারিনটেনডেন্ট এবং অন্যান্য হস্টেল কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।