মুম্বই: উৎসবের মরশুমে ভাসছে শহর কলকাতা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরের বুকে ভাসতে দেখা গিয়েছে মৃতদেহও। সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে, চলছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতা নয়, অতিবৃষ্টিতে মর্মান্তিক ছবি উঠে এল মহারাষ্ট্র থেকেও। চলতি বর্ষায় সেখানকার একটি অঞ্চলেই ৮৬ জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গেল। (Maharashtra Rains)
মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড় থেকে এই পরিসংখ্য়ান সামনে এসেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চলতি বর্ষায় মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়েই শুধুমাত্র ৮৬ জন মারা গিয়েছেন। অতিবর্ষণ এবং সেই সংক্রান্ত কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন সকলে। মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড় অঞ্চলের মধ্য়ে পড়ে ছত্কপতি সম্ভাজীনগর, জালনা, লাতুর, পরভানী, নানদেদ, হিঙ্গোলি, বিড, ধারাশিব জেলা। (Monsoon Affects Marathwada)
প্রাণহানির পাশাপাশি, বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে মাাঠাওয়াড়ে। একটানা ভারী বৃষ্টিতে লক্ষ লক্ষ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে গত কয়েক দিনে। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “মারাঠাওয়াড়ের একাধিক জায়গায়, বারং বার অতিবৃষ্টি হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ধারাশিব, লাতুর, বিডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। লক্ষ লক্ষ হেক্টর ফসলের জমি চলে যায় জলের নীচে।”
ওই সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১ জুন থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মারাঠাওয়াড়ে ৮৬ জন মারা গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন নানদেদে। সেখানে ২৬ জন মারা গিয়েছেন। ছত্রপতি সম্ভাজীনগরে ১৫ জন, হিঙ্গোলি ও বিডে ১১ জন করে মানুষ মারা গিয়েছেন। জালনায় সাত জন, লাতুর ও পরভানীতে মারা গিয়েছেন ছ’জন করে। চার জন মারা গিয়েছেন ধারাশিবে।
চলতি বর্ষায় অতিবৃষ্টিতে প্রচুর গবাদিপশুও মারা গিয়েছে মরাঠাওয়াড়ে। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য় অনুসারে সংখ্যাটা ১৭২৫। নানদেদেই ৫৬৯। ২৩.৯৬ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে এলাকার নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তার দরুণই এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বন্য়া কবলিত এলাকায় পৌঁছন শিবসেনা (UBT) নেতা উদ্ধব ঠাকরে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের কাছে আর্জি জানান তিনি।