মুম্বই : করোনা সংক্রমণের নিরিখে বরাবরই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এবার একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু দেখল এই রাজ্য। মৃত্যু হয়েছে ৯২০ জনের। বুধবার নতুন করে ৫৭ হাজার ৬৪০ জন সংক্রমিত হন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজধানী মুম্বইয়ে নতুন করে ৩ হাজার ৮৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। অন্যদিকে পুণেতে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬.১৪ লক্ষ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্রের প্রশংসা করেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রকে সুপারিশ করেছে, "মুম্বই মডেল"-এর অনুকরণে দিল্লিতে অক্সিজেন জোগানের চেষ্টা করতে। এর পাশাপাশি হাইকোর্টের অক্সিজেন সরবরাহের উপর নজরদারি চালানো থামাতে চায়নি শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৫টি জেলায় সংক্রমণ কমছে।
এই তালিকায় রয়েছে- মুম্বই, ঔরঙ্গাবাদ, থানে, নাসিক, রায়গড়, নাগপুর, লাটুর, অমরাবতী, নান্দেড, ধুলে, ভাণ্ডারা, নান্দুরবার, ওসমানাবাদ, চন্দ্রপুর এবং গোন্ডিয়া।
এদিকে রাজ্যে গত তিনদিনে প্রতিদিন ৩০০০০-এর কম করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সতর্ক করে দিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য রাজ্যবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। মহারাষ্ট্র কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সকে প্রত্যেক ফ্যামিলি ডক্টরের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে অনেক ভাল চিকিৎসক রয়েছেন। আমরা একসাথে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, করোনায় মৃত্যু যেন না বাড়ে। এর পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে অক্সিজেন জেনারেশন ক্যাপাসিটি প্রতিদিন ৩ হাজার মেট্রিকটন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মিশন অক্সিজেন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান উদ্ধব।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি, সাতারা, কোলহাপুর জেলায় সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সেখানে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে প্রশাসন।