আগ্রা থেকে ঝাঁসিগামী পাতালকোট এক্সপ্রেসের দুটি বগিতে আগুন আতঙ্ক ছড়াল। ইতিমধ্যেই পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে আগুনে ঝলসে জখম হয়েছেন ২। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেনের দুটি বগি। আতঙ্কিত যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। এরপরেই কোনওমতে ট্রেন থেকে নামানো হল যাত্রীদের। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল, এলাকায় মোতায়েন আছে পুলিশ।
কিছুদিন আগে ডাউন বেঙ্গালুরু সুপার ফাস্ট ট্রেনে আগুন (Fire Incident) লাগে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বি-১ কোচে আগুন লাগে বলে জানা যায়। মালদা স্টেশন ছাড়তেই ওই ট্রেনে আগুন ধরে যায়। এরপরেই তড়িঘড়ি ট্রেন থামান চালক। তবে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ডাউন বেঙ্গালুরু সুপার ফাস্ট ট্রেনটি। কিন্তু কেন কী করে লাগল আগুন ? খতিয়ে দেখতে শুরু করে রেল (Indian Railway)।
যদিও এই ঘটনায় অন্য বিশ্লেষণ, দিয়েছিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি বলেছিলেন, 'কোচের বাইরে থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কোচের মধ্যে ধোঁয়া হলে, আতঙ্ক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেত, কিন্তু এরকম কিছু ঘটনা ঘটেনি, যেটায় বিপদ হতে পারে। যাত্রীদের যাতে আর কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেজন্য নতুন কোচে বসিয়ে আমরা ট্রেনটিকে এখনই চালাবার চেষ্টা করছি।'
অন্যদিকে গত সেপ্টেম্বরে বোলপুরের (Bolpur) প্রান্তিক স্টেশনে (Prantik Station) এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন আতঙ্ক ছড়ায়। মুজাফ্ফরপুর-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের ডি-২ কামরায় ধোঁয়াতেও বিপত্তি। ডি-২ কামরার চাকায় আগুন লেগে যাওয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা। কোপাই স্টেশন পেরোনোর পরেই ধোঁয়া দেখে চেন টেনে ট্রেন থামান যাত্রীরা। কোপাই স্টেশন পেরিয়ে ধরমতলায় ট্রেন থামার পরেই যাত্রীদের (Passengers) মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী আহতও হন বলে খবর মেলে। পিছনেই বন্দে ভারত থাকায় কিছুক্ষণ পরে প্রান্তিক স্টেশনে আনা হয় যাত্রীদের । কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল যদিও এর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি রেল কর্তৃপক্ষের (Rail) তরফে। যদিও বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছে, মুজাফ্ফরপুর-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস যখন আমোদপুর স্টেশন পেরিয়ে এগোচ্ছিল, তখনই একটা বিকট গন্ধ পান তাঁরা। তারপর কোপাই স্টেশনের পর ট্রেনের নিচে থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান তাঁরা। তারপরই আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। আগুনের আতঙ্কের জেরে চেন টেনে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়