ক্যাপ্টেন সুজি গ্যারেট। তিন দশকের বেশি প্লেন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।এবার তাঁর সঙ্গে ককপিটে বসতে চলেছেন তাঁরই কন্যা- ডোনা গ্যারেট। মায়ের কাছে নিঃসন্দেহে এ এক গর্বের মুহূর্ত।
স্কাই ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন সুজি। সেই একই সংস্থায় যোগ দিয়েছেন মেয়ে ডোনা। শুধু কন্যাই নয়,. সুজি স্বামী ও ছেলেও পাইলট। এয়ারলাইন্সের ব্লগে তিনি লিখেছেন, আমরা আমাদের কাজকে খুব ভালোবাসি। অন্য পেশায় আপনি এটা খুব বেশি দেখতে পাবেন না। আমাদের সন্তানেরা কেউই পাইলট হওয়ার কথা ভাবতো না। .. কিন্তু অফিসে বসার পর ওরা দেখুন কতটা খুশি। এটা ওদের চোখ খুলে দিয়েছে।
মেয়ে ডোনা গ্যারেটের কথায়, আমি যেন গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। এটা আমার কাছে দারুণ অনুপ্রেরণা। আমার বাবা এবং মাকে এতদিন দেখে এসেছি। ওদের জীবনযাপন আমার কাছে এক অভিজ্ঞতা, চমৎকার ব্যাপার।
মেয়ের সঙ্গে ককপিটে বসে খানিকটা নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন সুজি। তাঁর প্রথম বিমান আজ থেকে ৩০ বছর আগে। সে দিনও তিনিও ডোনার বয়সি ছিলেন। একরাশ স্বপ্ন আর কেরিয়ার গড়ার প্রবল ইচ্ছে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিমান ক্ষেত্রে। তারপর থেকে কাজ করতে করতে কত ধরনের অভিজ্ঞতা। কত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবকিছু সামলে নেওয়া। সে সব গল্পই মেয়েকে বলেছেন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কী ভাবে বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হয়, সে এক মস্ত চ্যালেঞ্জ। মায়ের কাছে সে সব গল্প শুনে ডোনাও মনে মনে নিজেকে তৈরি করেছেন।
সুজি জানিয়েছেন, ডোনা বৈচিত্র ভালোবাসেন। কর্মক্ষেত্র তাঁকে সেই সুযোগ এনে দেবে বলে মনে করেন ক্যাপ্টেন সুজি।