রবিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৮৯ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। সর্বোচ্চ ৭৮ রান করলেন শিখর ধবন। তাঁর ৫০ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও দু’টি ছক্কা। অপর ওপেনার মার্কাস স্টোইনিস করেন ৩৮ রান। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ২১ রান করেন। শিমরন হেটমায়ার শেষ দিকে ২২ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। দিল্লির ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৮৬ রান। সেই সময় মনে হচ্ছিল, ধবনরা হয়তো ২০০-র বেশি রান করবেন। কিন্তু মাঝে রানের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়। তবে হেটমায়ার ক্রিজে আসার পর ফের রানের গতি বাড়ে। দিল্লির হয়ে একটি করে উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা, জেসন হোল্ডার ও রশিদ খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট (৩ বলে ২ রান) হারায় হায়দরাবাদ। প্রিয়ম গর্গ, মণীশ পাণ্ডে, জেসন হোল্ডাররাও ফিরে যান পরপর। লড়াই করেন কেন উইলিয়ামসন। ৪৫ বলে ৬৭ রান করেন কিউয়ি তারকা। যতক্ষণ তিনি ক্রিজে ছিলেন, আশা ছিল হায়দরাবাদের। লড়াই করেন আব্দুল সামাদও। ১৬ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি। তবে মাত্র ৪ বলের ব্যবধানে আব্দুল সামাদ, রশিদ খান (১১) ও বাংলার শ্রীবৎস গোস্বামীকে (০) ফিরিয়ে দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে দেন কাগিসো রাবাডা। ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তিন উইকেট স্টোইনিসেরও। ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি।
ম্যাচের পর স্বস্তি শ্রেয়সের গলায়। বললেন, ‘ফাইনালে উঠতে পেরে অসাধারণ লাগছে। এটাই সেরা অনুভূতি।’ ফাইনালে তাঁদের সামনে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমবার ট্রফি জয়ের স্বাদ পেতে এখন থেকেই কোমর বাঁধছেন দিল্লির যোদ্ধারা।