নয়াদিল্লি: ১৩ বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। ১০ বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয়। এতদিন পরে দিল্লি হাইকোর্টের রায় গেল মৃতের স্ত্রীর পক্ষে। আদালত জানিয়ে দিল, ওই মহিলা নিম্ন আদালতে শুনানি চলাকালীন যৌথ সম্মতিতে বিচ্ছেদের বিরোধিতা করেছিলেন। তাই এই মামলার রায় তাঁর পক্ষেই যাচ্ছে।


বিচারপতি অনু মালহোত্র বলেছেন, ‘১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি(২) ধারা অনুসারে এই মামলার শুনানি চলাকালীন যৌথ সম্মতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। সেই কারণে এই মামলাটিকে যৌথ সম্মতির বলা যাবে না। বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর হওয়া পর্যন্ত আদালতে দু’পক্ষের সম্মতি থাকা জরুরি। কিন্তু এই মামলার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি।’

২০০১-র ফেব্রুয়ারিতে এই দম্পতির বিয়ে হয়। ২০০৫-এর মে-তে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী। শুনানি চলাকালীন ওই মহিলা ১৫ লক্ষ টাকা পেলে যৌথ সম্মতিতে বিচ্ছেদে রাজি হওয়ার কথা জানান। তাঁর স্বামী আট লক্ষ টাকা দেওয়ার পর ওই মহিলা বলেন, ২৮ লক্ষ টাকা পেলে তবেই তিনি যৌথ সম্মতিতে বিচ্ছেদে রাজি হবেন। তখন আদালতের মনে হয়, স্বামীর কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করতে চাইছেন ওই মহিলা। সেই কারণে তাঁর আর্জি খারিজ করে ২০০৭-এর ৬ অক্টোবর যৌথ সম্মতিতে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেয় আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানান ওই মহিলা। ২০০৮-এ তাঁর স্বামী এবং পরে শাশুড়িরও মৃত্যু হয়। হাইকোর্ট রায় দিল, ওই মহিলা তাঁর স্বামীর দেওয়া আট লক্ষ টাকা নিতে পারবেন।