নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে ধৃত দুই ব্যক্তি নিজেদের গোরক্ষক বলে দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, এ মাসের ১৩ তারিখ কনস্টিটিউশন ক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান বানচাল করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তাদের মনে হয়েছিল, যে অনুষ্ঠানে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝাঁর হাজির থাকার কথা ছিল, সেখানে হামলা চালালে গোরক্ষার বিষয়ে প্রচার পাওয়া যাবে। যদিও কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে খালিদকে দেখতে পেয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।


খালিদের উপর হামলার পর থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে দিল্লি পুলিশ। ১৫ তারিখ ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে অন্যতম অভিযুক্ত দরবেশ শাহপুর। সে ওই ভিডিওতে বলে, ‘আমাদের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু আমাদের সংবিধানে কোথাও পাগলা কুকুরকে সাজা দেওয়ার কথা বলা নেই। পাগলা কুকুর বলতে আমরা জেএনইউ-এর গ্যাংকেই বোঝাচ্ছি। তারা দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছি। তাদের সংখ্যা বাড়ছে। হরিয়ানায় আমাদের বড়রা শিখিয়েছেন, এই ধরনের লোকজনকে শিক্ষা দিতে হয়।’

দরবেশ ও অপর অভিযুক্ত নবীন দালাল জানিয়েছিল, তারা ১৭ তারিখ আত্মসমর্পণ করবে। সেই অনুযায়ী শিখ নেতা কর্তার সিংহ সারাভার গ্রামে যায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। কিন্তু দরবেশরা সেখানে যায়নি। সোমবার ভোরে তাদের আটক করা হয়। তাদের দাবি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।