ব্যাঙ্গালোর: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারা দেশের বিভিন্ন অংশ থেকেই অক্সিজেনের অভাবে আক্রান্তদের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। এরইমধ্যে কর্ণাটকের ইয়েলাহাঙ্কার আরকা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে দুই রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গতকাল রাত আটটার সময় অক্সিজেন সরবরাহের আর্জি জানিয়েছিল।
হাসপাতালে মোট ৪৫ জন কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩৫ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলিং করতে পাঠিয়েছিল। ভোর চারটেয় ১৫ সিলিন্ডার রিফিল হয়ে আসে। কিন্তু বাকি ২০ সিলিন্ডার এখনও আসেনি। যদিও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গেছে। যদিও এরইমধ্যেই অক্সিজেনের সরবরাহের অভাবে দুই রোগীর মৃত্যুর খবর অত্যন্ত মর্মান্তিক।
এর আগে, অক্সিজেনের অভাবে কর্ণাটকে ২৪ জনেরও বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। চামরাজনগর জেলা হাসপাতালে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
মৃতদের সকলেই অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কীভাবে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার কর্ণাটকে করোনায় আক্রান্ত হন ৩৭ হাজার ৭৩৩ জন। এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। চামরাজনগর জেলা কালেক্টরের থেকে এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেন তিনি।
কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটের জেরে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এদিনই জরুরি বৈঠকের ডাকেন।
মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ হাসপাতালের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। এরপরই এক-এক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোগীরা।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন পাঠিয়ে দেওয়া হয় মহীশূরে। কিন্তু, কার নির্দেশ এমনটা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠেও এদিন অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকা এইসব রোগীর আত্মীয়স্বজনদের অভিযোগ, দরকার থাকলেও কোনও রোগীকে বেশ খানিকক্ষণ অক্সিজেন দিতে পারেনি হাসপাতাল। ফলে ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সারা দেশে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি রব তুলেছে।