শিলচর (অসম): ৫ বাংলাভাষীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই জঙ্গি সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু অসমে। তিনসুকিয়ার গণহত্যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল চলছে অসমে, পশ্চিমবঙ্গে। তার মধ্যেই শনিবার বিকালে কাছাড় জেলায় অস্ত্রশস্ত্র সমেত দুই অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয় লোকজন। সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে চলে মারধর। কাছাড়ের লখিপুর সাব ডিভিশনের হরিনগর এলাকার বাসস্টপ থেকে তাদের মারমু্খী জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। জনৈক পদস্থ পুলিশ অফিসার জানান, দুজনকে সঙ্কটজনক অবস্থায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতেই তাদের মৃত্যু হয়।
পুলিশকর্তাটি বলেন, দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। ওদের শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ার ফলে পরিবারকেও খবর পাঠানো হয়নি। বাসস্টপে ওদের ব্যাপক মারধর করা হয়। মারাত্মক জখম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রোশন আগে পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, তিনটি একে-৫৬ রাইফেল, একটি চিনে তৈরি এলএমজি, একটি ১২ বোরের সিঙ্গল ব্যারেল ও একটি ৫.৫৬ এমএম রাইফেল উদ্ধার হয়েছে ওদের হেফাজত থেকে।
দুজনকে পাকড়াও করার স্থানীয় লোকজনের প্রশংসা করেন রোশন, ওরা ডিমা হাসাও জেলা থেকে এসেছিল বলেও জানান।
তিনসুকিয়ায় বাংলাভাষীদের নৃশংস কায়দায় গুলি করে মেরে ফেলার পিছনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আলফা (স্বাধীনতাপন্থী)-র হাত থাকার দাবি করা হলেও তারা এতে জড়িত থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই থমথমে তিনসুকিয়ায়। একটি সূত্রের দাবি, এই প্রেক্ষাপটে গতকাল রাতে হরিনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাজারে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি কোনও জায়গার পথ নির্দেশিকা চায়। কিন্তু তাদের কাছে অস্ত্র থাকায় এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় হামলা করে ওই দুজন। পাল্টা এলাকাবাসী তাদের মারধর করে।