নয়াদিল্লি: বিজেপি-র বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অভিযোগ আনলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। আজ দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে কোনওদিন গণতন্ত্র এতটা খারাপ জায়গায় পৌঁছয়নি। আমি কয়েক সপ্তাহ আগেই বলেছিলাম, ২০১৯ সালের জনাদেশের চরম অপব্যবহার করা হচ্ছে। কংগ্রেসকে ভয় না পেয়ে রাস্তায়, গ্রামে, শহরে লড়াই করতে হবে। আর্থিক হোক বা সামাজিক, মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের জন্য কংগ্রেসকে সামগ্রিক পরিকল্পনা করতে হবে।’

সনিয়া আরও বলেছেন, ‘দেশে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক মন্দা চলছে। বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন। যত দিন যাচ্ছে সরকার ততই দিশাহীন ও অসংবেদনশীল হয়ে উঠছে।’

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম দলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন সনিয়া। এই বৈঠকে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী, প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটেল, এ কে অ্যান্টনি, কে সি বেনুগোপাল, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তবে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এই বৈঠকে ছিলেন না।

বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখপাত্র আর পি এন সিংহ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলে আর্থিক মন্দার বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তার আগে ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্থিক মন্দার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সম্মেলন করবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। মহাত্মা গাঁধীর সার্ধশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে ২ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পদযাত্রারও আয়োজন করবে কংগ্রেস। অক্টোবর থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযানও শুরু হবে।