এএমইউয়ের রেজিস্ট্রার ডাঃ আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবারই জানান, হান্ডওয়ারায় বৃহস্পতিবার এনকাউন্টারে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন সন্ত্রাসবাদী মানান ওয়ানি একসময় এএমইউয়ের ছাত্র ছিল। তবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে তার কোনও খবর তাঁদের কাছে ছিল না। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক এখন আর নেই।
আলিগড়ের বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম ওয়ানির জন্য প্রার্থনাসভার নিন্দা করে বলেছেন, যে ছাত্ররা এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করছে, ক্যাম্পাসে ঢোকার আগে তাদের দেহ তল্লাশি করা হোক, বহিষ্কার করা উচিত প্রতিষ্ঠান থেকেও।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশবিরোধী আখ্যা পেতে পারে, এমন যে কোনও কাজের প্রতি তারা জিরো টলারেন্স পলিসি অর্থাত্ কোনওমতেই মেনে না নেওয়ার নীতি নিয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়জুল হাসানও বলেন, তিনি সবসময় স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষপাতী, কিন্তু সন্ত্রাস বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা কখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হতে দেবেন না।
প্রসঙ্গত, পিএইচডি গবেষণা ছেড়ে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া ২৭ বছরের ওয়ানি ও আরও ২ জঙ্গির গোয়েন্দা সূত্রে হান্ডওয়ারার সাটগুন্ডে গা ঢাকা দিয়ে থাকার খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী সেখানে অভিযানে নামে। বারবার ধরা দিতে বলা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি।