আলিগড় (উত্তরপ্রদেশ): কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি মানান বসির ওয়ানির স্মরণসভা হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (এএমইউ)। পিএইচি গবেষক ওয়ানি হিজবুলে নাম লেখানোর আগে সেখানকার ছাত্র ছিল। গত জানুয়ারি পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী বাহিনীতে যোগ দেয় সে। আজ তার স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রার্থনা করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেখানকার কর্তৃপক্ষ স্মরণসভার আয়োজকদের শোকজ নোটিস দিয়েছে, পাশাপাশি তিন পড়ুয়াকে বেআইনি সমাবেশের জন্য সাসপেন্ড করেছে তারা। সূত্রের খবর, এরা কাশ্মীরী। কয়েকজন কাশ্মীরী ছাত্র নিহত হিজবুল কমান্ডারের জন্য প্রার্থনাসভার জন্য ক্যাম্পাসের কেনেডি হলে জমায়েত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও ছাত্র সংসদের নেতারা চলে আসেন, তাদের বাধা দেন। এএমইউয়ের মুখপাত্র অধ্যাপক সফি কিদোয়াই জানান, এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দুপক্ষের। শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরী ছাত্ররা চলে যায়।


এএমইউয়ের রেজিস্ট্রার ডাঃ আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবারই জানান, হান্ডওয়ারায় বৃহস্পতিবার এনকাউন্টারে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন সন্ত্রাসবাদী মানান ওয়ানি একসময় এএমইউয়ের ছাত্র ছিল। তবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে তার কোনও খবর তাঁদের কাছে ছিল না। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক এখন আর নেই।

আলিগড়ের বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম ওয়ানির জন্য প্রার্থনাসভার নিন্দা করে বলেছেন, যে ছাত্ররা এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করছে, ক্যাম্পাসে ঢোকার আগে তাদের দেহ তল্লাশি করা হোক, বহিষ্কার করা উচিত প্রতিষ্ঠান থেকেও।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশবিরোধী আখ্যা পেতে পারে, এমন যে কোনও কাজের প্রতি তারা জিরো টলারেন্স পলিসি অর্থাত্ কোনওমতেই মেনে না নেওয়ার নীতি নিয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়জুল হাসানও বলেন, তিনি সবসময় স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষপাতী, কিন্তু সন্ত্রাস বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা কখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হতে দেবেন না।
প্রসঙ্গত, পিএইচডি গবেষণা ছেড়ে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া ২৭ বছরের ওয়ানি ও আরও ২ জঙ্গির গোয়েন্দা সূত্রে হান্ডওয়ারার সাটগুন্ডে গা ঢাকা দিয়ে থাকার খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী সেখানে অভিযানে নামে। বারবার ধরা দিতে বলা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি।