তিরুঅনন্তপুরম:   কেরলে বিরল প্রজাতির ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এক সেনা। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা ট্যুইটে এই খবর জানিয়েছেন। তাঁর ট্যুইট থেকেই জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুদান থেকে দেশে ফেরেন সেনায় কর্মরত ওই যুবক। তাঁর শরীরে ‘প্লাজমোডিয়াম ওভাল’ নামে এই রোগ ধরা পড়েছে। কান্নুরের জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে এবং সতর্কতা অবলম্বন করলে এই রোগের সংক্রমণ এড়ানো যায় বলেও জানিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানব দেহে পাঁচ ধরনের প্যারাসাইট ম্যালেরিয়ার কারণ। তার মধ্যে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম, প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স সবচেয়ে বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালের তুলনায়, ২০১৯ সালে বিশ্বে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ২০১৮ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৮ মিলিয়ন। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২৯ মিলিয়ন। যদিও ৩০ নভেম্বরের প্রকাশিত এই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, ভারতের পরিস্থিতি কিছুটা সন্তোষজনক। ২০০০ সালে ভারতে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ মিলিয়ন, ২০১৯-এ তা নেমে দাঁড়ায় ৫.৬ মিলিয়নে। ২০০০ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ভারতে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হারও কমেছে। ২০০০ সালে যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৯,৫০০, সেখানে ২০১৯-এ মৃতের সংখ্যা কমে হয় ৭,৭০০। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও ভারতেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৮৮ শতাংশই ভারতে। এই অঞ্চলে ম্যালেরিয়ায় মোট মৃত্যুর ৮৬ শতাংশই ভারতে।

সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০১৮-র তুলনায় ২০১৯ –এ বাড়লেও, মৃত্যু কমেছে। ২০১৯ সালে ম্যালেরিয়ায় ভুগে মারা গিয়েছেন চার লক্ষ নয় হাজার জন। সেখানে ২০১৮ সালে মারা গিয়েছিলেন চার লক্ষ এগারো হাজার জন। কিন্তু আফ্রিকার ছবিটা একেবারেই বদলায়নি। গত বছর বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় যত মানুষ আক্রান্ত ও মারা গিয়েছেন তার ৯৪ শতাংশ আফ্রিকার।

ভারতে প্রথম করোনা ধরা পড়েছিল কেরলের ত্রিশূরে। এবারও প্রথম বিরল প্রজাতির ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের খবর মিলল কেরলে।