নয়াদিল্লি: ‘কৃষিক্ষেত্রের উন্নতিতেই নতুন আইন। এই আইনে সুফল পাবেন ক্ষুদ্র চাষিরাও। নতুন বাজারের সুবিধা পাবেন কৃষকরা। কৃষির উন্নতিতে সমস্ত বাধা এর ফলে দূর হবে। এই আইনে নতুন প্রযুক্তির সাহায্য পাবেন কৃষকরা। এই আইনের ফলে কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়বে। কৃষকরা পাবেন নতুন নতুন বিকল্প। ভারতে এখন কর্পোরেট কর অনেক কম। বেসরকারি বিনিয়োগেই হবে কৃষির উন্নতি।’ আজ বণিকসভা ফিকি-র ৯৩-তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ফিকি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। গতকালের পর এই অনুষ্ঠান চলছে আজ। এরপর সোমবারও এই অনুষ্ঠান চলবে। করোনা আবহে এই বার্ষিক সাধারণ সভা হচ্ছে ভার্চুয়ালি। সারা বিশ্বের ১০ হাজার অভ্যাগত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী, আমলা, শিল্পপতি, কূটনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরাও আছেন।

দেশে এখন অন্যতম আলোচ্য বিষয় কৃষকদের আন্দোলন। ফিকি-র এই অনুষ্ঠানেও সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন মোদি। তিনি কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমন করার জন্য তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।

করোনা অতিমারী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে কথাও এই অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে অনেককিছু দ্রুত বদলে গিয়েছে। ২০২০ সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। দেশ এবং সারা বিশ্ব অনেক ওঠা-নামা দেখেছে। আমরা কয়েক বছর পরে যখন করোনা পরিস্থিতির কথা ভাবব, তখন হয়তো আমাদের বিশ্বাস হবে না। এটা ভাল দিক যে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে যখন অতিমারী শুরু হয়, তখন আমরা অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছিলাম। তখন উৎপাদন, পরিবহণ, আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ঘুরে সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। প্রশ্ন ছিল, কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে এবং কীভাবে উন্নতি হবে? আমাদের কাছে এই প্রশ্নগুলির জবাব এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। সঙ্কটের সময় দেশ যে শিক্ষা পেয়েছে, সেটা ভবিষ্যতে দেশকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত ৬ বছরে সারা বিশ্ব ভারতের প্রতি যে আস্থার পরিচয় দিয়েছে, গত কয়েকমাসে সেটা আরও জোরদার হয়েছে। ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন মোদি। তাঁর দাবি, এর আগে দেশের কোনও সরকারই এরকম কোনও উদ্যোগ নেয়নি।