কলকাতা: গোটা দেশের টেলিভিশনের প্রথমবার। দুর্নীতি থেকে শাসন ব্যবস্থা, সোজাসুজি প্রশ্নে খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন তিনি। এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে (Suman De) দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অকপট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই সাক্ষাৎকারেই তিনি বলেন, ''মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেই মুড়ি-মুড়কির মত সিবিআই দিতে হয়েছে। আমি তো এটা জীবনে কল্পনাই করতে পারি না।''
তিনি আরও বলেন, ''শিক্ষাক্ষেত্রে ধরুন একজন চাকরি পেলেন শিক্ষক হিসেবে। এই যাঁরা জালিয়াতি করে ঢুকছেন বা ঢুকে বসে আছেন এখনও, তাঁরা কী মূল্যবোধ দেবে ছাত্রদের মধ্যে? তাঁদের সবার চাকরি যাবে। যাঁরা অসৎ পথে চাকরি পেয়েছেন। যাঁরা দুর্নীতি করে ঢুকেছেন, তাঁদের ধরতে পারলেই চাকরি যাবে। তাঁরা যেন একদমই নিশ্চিন্তে না থাকেন।''
সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পর হতে পারে বিতর্ক হতে পারে। শুরু হতে পারে সমালোচনা। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলছেন, 'শুধু আমি নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে বিচারপতি রুখে দাঁড়াবেন, তিনিই প্রোজেক্টেড হবেন।' যোগ করেছেন, ''আমায় জুডিশিয়ারি থেকে বহিষ্কার করে দিলেও, আমি মনে করি, যা করেছি ঠিক করেছি। আমি জানি বেকার জীবন কী। রুপোর চামচ মুখে দিয়ে জন্মাইনি। ভয়, আতঙ্ক মাঝেমাঝে অত্যন্ত ভাল ফল দেয়। অফিসারদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে বেনিয়ম করে পার পাওয়া যাবে না।''
তথ্য বলছে, গত ১০ মাসে নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত ১০টি মামলায় তদন্তভার তিনি সটান তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। তাঁরই নির্দেশে তিন দফায় ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী দুর্গাপুজোর মুখে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি পেতে চলেছেন। বিধাননগরে নিজের ফ্ল্যাটে বসে এবিপি আনন্দের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, 'যারা দুর্নীতি করেছে, ধরা পড়লেই চাকরি যাবে। যারা অসৎভাবে চাকরি পেয়েছে, সবার চাকরি যাবে। তারা কেউ যেন নিশ্চিন্তে না থাকে। তদন্তের সময় বেঁধে দেওয়ার কারণ, রাজনীতিবিদরা অত্যন্ত কৌশলী। সময় বেঁধে না দিলে তারা বেরিয়ে যাবেন।' সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পর হতে পারে বিতর্ক হতে পারে। শুরু হতে পারে সমালোচনা। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলছেন, 'শুধু আমি নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে বিচারপতি রুখে দাঁড়াবেন, তিনিই প্রোজেক্টেড হবেন।'