চণ্ডীগড়: উত্তরপ্রদেশ, গোয়া ছাড়াও পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরেও বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন।


প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পদ, তারপর কংগ্রেস থেকে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের পদত্যাগ। প্রদেশ সভাপতির পদে নভজ্যোত সিং সিধুর ইস্তফার ইচ্ছেপ্রকাশ। পরে হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ, পঞ্জাবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা...সবমিলিয়ে বেশ খানিকটা বেকায়দার পড়া কংগ্রেস কি পারবে পাঞ্জাব বিধানসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে? পাকিস্তান সীমান্তের এই রাজ্যে ভোটের ফলাফল কী হতে পারে?


পঞ্জাব বিধানসভায় মোট আসন ১১৭টি। ম্যাজিক ফিগার ৫৯। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৭ থেকে ৫৩টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে আম আদমি পার্টি। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে প্রায় ৩৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থেকে কংগ্রেস পেতে পারে ৪২ থেকে ৫০টি আসন। তাদের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৫ শতাংশ ভোট। শিরোমণি অকালি দল ১৬ থেকে ২৪টি আসন এবং ২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে।


পঞ্জাবে বিজেপি সর্বোচ্চ একটি আসন পেতে পারে। ভোট পেতে পারে ২ শতাংশ। অন্যান্য দলগুলি সর্বোচ্চ একটি আসন এবং ৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে। অর্থ্যাৎ পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির কড়া টক্করের সম্ভাবনা। এখানে বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নাও হতে পারে।


ভোট রয়েছে ৭০ আসনের উত্তরাখণ্ডেও। ম্যাজিক ফিগার ৩৬। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডে ৩৬ থেকে ৪০টি আসন এবং ৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস পেতে পারে ৩০ থেকে ৩৪টি আসন এবং ৩৬ শতাংশ ভোট। আম আদমি পার্টি সর্বোচ্চ দুটি আসন এবং ১২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। উত্তরাখণ্ডে একটি আসন যেতে পারে অন্য দলের ঝুলিতে। ভোট শতাংশ হতে পারে ১১ শতাংশ। ফলে উত্তরাখণ্ড বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের জোর টক্কর। আম আদমি পার্টি ভোট কাটাকাটির ফলেই কি উত্তরাখণ্ডে জয়ী হতে পারে বিজেপি? উঠছে এই প্রশ্ন।


আগামী বছর ভোট রয়েছে উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরেও। সেখানে মোট আসন ৬০টি। ম্যাজিক ফিগার ৩১। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, মণিপুরে ২৫ থেকে ২৯টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে প্রায় ৩৯ শতাংশ। কংগ্রেস পেতে পারে ২০ থেকে ২৪টি আসন এবং ৩৩ শতাংশ ভোট। নাগা পিপলস ফ্রন্ট বা NPF পেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন এবং ৯ শতাংশ ভোট। অন্যান্য দলগুলির ঝুলিতে ৩ থেকে ৭টি আসন এবং ১৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। দেখা যাচ্ছে, মণিপুরেও বিজেপি-কংগ্রেসের মধ্যে জোরা লড়াইয়ের সম্ভাবনা। এখানেও কি ভোট কাটাকাটির সুবিধা পাবে বিজেপি? তার উত্তর মিলবে আগামী বছর ভোটের ফলাফলে।