রাজকোট: অসংখ্য বিলাসবহুল বিয়ের সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিয়েতে জৌলুস, জলের মতো অর্থ খরচ দেখা গিয়েছে। তবে যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, অতীতের সব নজির ছাপিয়ে যেতে চলেছে গুজরাতের ব্যবসায়ী মৌলেশভাই পটেলের ছেলে জয়ের বিয়ে। বিয়ের কার্ডই নতুন নজির তৈরি করেছে। একেকটি আমন্ত্রণপত্রের জন্য খরচ হয়েছে ৭,০০০ টাকা করে। প্রতিটি আমন্ত্রণপত্রের ওজন ৪ কিলো ২৮০ গ্রাম। আমন্ত্রণপত্রে অনুষ্ঠানের বিবরণ, বর-কনের পরিচয় সহ নানা খুঁটিনাটি ছাড়াও আছে কাজু, বাদাম, কিশমিশ, চকোলেট।
রাজস্থানের জোধপুরের উমেদ ভবন প্যালেসে বসতে চলেছে মৌলেশভাই ও সোনালবেন পটেলের ছেলে জয়ের বিয়ের আসর। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর হতে চলেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত গোটা উমেদ ভবন প্যালেস ও হোটেল অজিত ভবন প্যালেস বুক করে রেখেছেন মৌলেশভাই।
এই ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে খবর, তিনটি চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করা হয়েছে। এই চার্টার্ড ফ্লাইটগুলি রাজকোট থেকে সরাসরি জোধপুর যাবে। তিনদিন ধরে নানা অনুষ্ঠান হবে। ১৪ তারিখ মেহেন্দি, দ্বারকধীশজির আরতি হবে। সেদিন রাতে শিল্পী ঐশ্বর্য মজুমদারের অনুষ্ঠান রয়েছে। পরেরদিন মণ্ডপ মহরত, মেহেন্দি হবে। তারপর বলিউড নাইটের আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চ মাতাবেন সচিন জিগর সহ বেশ কয়েকজন শিল্পী। ১৬ নভেম্বর মহেন্দ্রগড় দুর্গে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান হবে।
১৩ নভেম্বর থেকেই উমেদ ভবন প্যালেসের ৭০টি ঘর বুক করা হয়েছে। এছাড়া অজিত ভবন প্যালেসেরও ৬৭টি ঘরই চারদিনের জন্য বুক করা হয়েছে। বিয়েতে আমন্ত্রিত মোট ৩০০ জন। এর মধ্যে কনেপক্ষের ১৫০ জন। উমেদ ভবন প্যালেস দেশের অন্যতম বিলাসবহুল হোটেল। এখানে ঘর নিতে গেলে অন্তত ৫০ হাজার টাকা লাগে। একেকটি স্যুইটের জন্য খরচ করতে হয় আরও বেশি অর্থ। কিছু বিশেষ ধরনের ঘরের ভাড়া ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে। প্রতি রাতের জন্য হনিমুন স্যুইটের খরচ সাড়ে সাত লক্ষ টাকা।
এখানে খাওয়ার খরচও যথেষ্ট বেশি। বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের যে খাবার দেওয়া হবে, তার প্রতিটি প্লেটের জন্য খরচ হবে ১৮ হাজার টাকা করে।