গত সপ্তাহে ‘প্রকৃত দেশপ্রেমিক’ বলে মহাত্মা গাঁধীর ঘাতক নাথুরাম গডসের প্রশংসা করে সমালোচিত হন তিনি। ভোপালে তাঁকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা বিজেপিকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে প্রজ্ঞার মন্তব্য। তিনি যা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত, বিজেপির নয় বলে জানিয়ে প্রজ্ঞার থেকে দূরত্ব তৈরি করে দল। শেষে প্রজ্ঞাও ক্ষমা চেয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করেন।
প্রজ্ঞা বলেছিলেন, নাথুরাম গডসে ছিলেন, আছেন আসল দেশপ্রেমিক, থাকবেনও। তাকে যারা সন্ত্রাসবাদী বলে, তাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। এই ভোটেই জবাব পাবেন ওরা।
তারপরও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গাঁধী ঘাতকের গুণগান করায় কখনও প্রজ্ঞাকে ক্ষমা করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। বলেন, উনি ক্ষমা চেয়েছেন, সেটা ভিন্ন বিষয়, কিন্তু মন থেকে তাঁকে ক্ষমা করতে পারব না।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় জেলে তাঁর ওপর অত্যাচার করায় তাঁর ‘অভিশাপে’ই ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাস চলাকালে তত্কালীন মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার (এটিএস) প্রধান হেমন্ত কারকারে মারা যান বলে দাবি করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রজ্ঞা।
এই প্রেক্ষাপটেই তাঁর এক উপদেষ্টা জানান, প্রজ্ঞা সোমবার সকাল থেকে ২১ প্রহর (৬৩ ঘণ্টা) মৌনব্রত পালন শুরু করেছেন।
ট্যুইটেও বিজেপি নেত্রী গডসে সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আবার ক্ষমা চান। লেখেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পর এখন আত্মানুসন্ধানের সময় হয়েছে। ওই সময়কালে আমার মন্তব্যের জন্য দেশপ্রেমিকরা আঘাত পেয়ে থাকলে সেজন্য ক্ষমা চাইছি। জনজীবনে রীতি মেনে ও অনুতাপ প্রকাশের জন্য ২১ ঘন্টা মৌন থাকব, কঠোর প্রায়শ্চিত্ত করব।
কারকারে ও গডসেকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রজ্ঞার লোকসভা ভোটে প্রচারের ওপর ৭২ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও প্রজ্ঞা ও আরও ২ বিজেপি নেতার গডসে সংক্রান্ত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন।