আজ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মুজফ্ফরপুরে একটি মিছিলের ঘোষণা করেন ইমরান খান। তিনি লেখেন, পাকিস্তানের মানুষ কাশ্মীরিদের সঙ্গে রয়েছে, এই বার্তা দিতেই আয়োজন করা হবে এই র্যালি-র। এর পাশাপাশি গোটা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা হবে কাশ্মীরকেও।
গতকাল রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি স্বীকার করেন কাশ্মীর ভারতেরই অঙ্গ। ৭২ বছর পর এই প্রথম কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গ বলে স্বীকার করল পাকিস্তান।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। তারপর থেকে দু’দেশের মধ্যে চলছে তীব্র কূটনৈতিক টানাপোড়েন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। জম্মু কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গ হিসাবে মেনে নিলেও সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি।
এই পরিপ্রক্ষিতে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেয় ভারত। জেনিভায় বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিজয় ঠাকুর একটি বিবৃতি পেশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, 'একজন প্রতিনিধি ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্বক, আপত্তিকর, মিথ্যে এবং সাজানো অভিযোগ তুলেছেন। গোটা বিশ্বই অবগত, যারা এই সাজানো অভিযোগ করেছে তারা সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর, বছরের পর বছর ধরে সন্ত্রাসবাদীদের তারা আশ্রয় দিয়ে এসেছে।'
আন্তর্জাতিকভাবে বারংবার ধাক্কা খাবার পর মরিয়া হয়ে কাশ্মীর ইস্যুকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইমরান খান।