গত ৩ জুন যাত্রা শুরুর আধঘণ্টা পরই দুপুর একটা থেকে বিমানটির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বায়ুসেনার। টানা তল্লাসির পর বুধবার অরুণাচল প্রদেশের লিপোর প্রায় ১৬ কিমি উত্তরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ মেলে। ১৫ জনের উদ্ধারকারী দল গতকালই তার আরোহীদের সন্ধান শুরু করে ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকার জায়গায়। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ভৌগলিক প্রতিকূলতায় তাঁদের প্রয়াস বাধা পায়। পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার ফলে কঠিন সমস্যায় পড়েন তাঁরা।
আজ জনৈক বায়ুসেনা মুখপাত্র জানিয়ে দেন, ১৩ জনের কেউই বেঁচে নেই। বায়ুসেনা সাহসী আকাশ-যোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছে যাঁরা ৩ জুন একটি এএন-৩২ ভেঙে পড়ায় প্রাণ হারালেন, ওঁদের পরিবারের পাশেও থাকছে। ওঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন উইং কমান্ডার জি এম চার্লস, স্কোয়াড্রন লিডার এইচ বিনোদ, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এল আর থাপা, এমকে গর্গ, আশিস তানোয়ার, সুমিত মহান্তি, ওয়ারেন্ট অফিসার কে কে মিশ্র, সার্জেন্ট অনুপ কুমার, কর্পোরাল শেরিন, এলএসি এস কে সিংহ, এলএসি পঙ্কজ , রাজেশ কুমার ও পুতালি নামে দুই অসামরিক কর্মী।
আকাশপথে রুশনির্মিত বিমানটির খোঁজে বেরয় একাধিক বিমান, চপার। পদাতিক বাহিনীও সামিল হয়। মঙ্গলবার সিয়াং ও সি-ইয়োমি জেলার সীমান্তে একটি গ্রামের কাছে ১২০০০ ফুট উঁচু এলাকায় বায়ুসেনার একটি চপার প্রথম এএন-৩২ এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে পায়। ১৫ জনের উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয় ধ্বংস হওয়া বিমানের কোনও যাত্রী বেঁচে আছেন কিনা, অনুসন্ধান করে দেখার জন্য। আজ সকালে তাদের আটজন ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হন।
কংগ্রেস আজ নিহত ১৩জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, সারা দেশ ওঁদের সাহসী অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞ, ঋণী থাকবে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা ট্যুইট করেছেন, এএন-৩২ বিমানের যে আরোহীরা বহুমূল্য জীবন হারালেন, তাঁদের আমার স্যালুট, শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের বীর মানুষগুলির পরিবারকেও জানাই গভীরতম সমবেদনা, শোক। দেশ সর্বদা ওঁদের প্রতি ঋণী থাকবে।