আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলির নিচু এলাকা থেকে প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে সরিয়ে এনেছে। সমস্ত বিমানবন্দরগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ৭০ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বায়ু নিয়ে যে সতর্কতা রাজ্যে জারি হয়েছে, তা শুক্রবার পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর আগে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, ঘূর্ণিঝড় বায়ু ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে পরিণত হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপকূলবর্তী জেলা গির সোমনাথের ভেরাভাল থেকে ১৫০ কিমি দূরে রয়েছে এবং সৌরাষ্ট্র উপকূল এড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোবে। আহমেদাবাদের মেটিওরোলোজিক্যাল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিরেক্টর মনোরমা মোহান্তি বলেছেন, ঝড়ের অভিমুখ কিছুটা বদলেছে। ওই ঝড় সৌরাষ্ট্র উপকূলে আছড়ে পড়বে না এবং ওই উপকূল ঘেঁষে তা গির-সোমনাথ, জুনাগড়, পোরবন্দর, দেবভূমি-দ্বারকা জেলা এবং কেন্দ্রীয় শাসিত দিউতে প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেছেন, ঝড়ের কেন্দ্র গুজরাতে প্রবেশ করবে না। কিন্তু ঝড়ের অর্ধেক, বহিরাংশ রাজ্যে ঢুকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রভাব ফেলবে। স্থলভাগে না আছড়ে পড়লেও তা ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। কাজেই বৃষ্টি ও বন্দর এবং মত্স্যজীবীদের নিয়ে সমস্ত সতর্কতা বহাল থাকছে।
দিল্লির আইএমডি জানিয়েছে, বায়ু সৌরাষ্ট্র উপকূল বরাবর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে এবং গুজরাতের উপকূলবর্তী জেলাগুলি ও দিউতে বিকেল থেকে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি গতিতে প্রভাব ফেলবে ওই ঝড়।
রাজ্যের রাজস্ব সংক্রান্ত অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পঙ্কজ কুমার বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এবং এর কেন্দ্র স্থলভাগে না ঢুকলেও উপকূলে প্রভাব ফেলবে। তাই ঝুঁকি রয়েই গিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য সতর্ক থাকবে সরকার।