নয়াদিল্লি : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে রাজধানীতে হল সর্বদলীয় বৈঠক। সংসদের লাইব্রেরি ভবনে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বৈঠকে যোগ দেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি-র সতীশ মিশ্র, লোকজনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসোয়ান সহ বিভিন্ন দলের নেতারা।
রবিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেন যে সরকার সব বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, অন্যদিকে বিরোধীরা লোকসভা সাংসদ ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাঁকে অধিবেশনে যোগ দিতে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেন বিরোধীরা। পাশাপাশি বিরোধীরা দাবি করে, অধিবেশন চলাকালীন অর্থনৈতিক মন্দা, চাকরি হ্রাস এবং কৃষিকাজের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হোক।
প্রহ্লাদ জোশী সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ টি দলের প্রতিনিধিরা আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আলোচনা ও বিতর্ক করা। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী সব দলগুলিকে আগামী অধিবেশন ফলপ্রশু করে তোলার আহ্বান জানান।
জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব ও সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে আলোচানা হওয়ার সম্ভাবনা আগামী অধিবেশনে। ১৮ নভেম্বর থেকে সংসদে শুরু শীতকালীন অধিবেশন। এবারের অধিবেশনে মোদি সরকারের কাছে পাখির চোখ হবে নাগরিক সংশোধনী বিলটি। আর তা নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে সভা। বিলটির বিরোধিতা করবে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি।
শনিবার একটি সর্বদল বৈঠক ডাকেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন লোকসভার দলীয় নেতা-মন্ত্রীরা। এদিন বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, "সব দলের সাংসদ ও নেতাদের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হয়েছে। সংসদের অধিবেশন অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আশা করছি"।

এছাড়াও এই অধিবেশনে আনা হতে পারে ই-সিগারেট ও কর্পোরেট ট্যাক্স সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স বিল। সেই সঙ্গে তোলা হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলটিও।
ইতিমধ্যে জারি করা দুটি কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দেবার বিষয়টিও এই অধিবেশনে নির্ধারিত রাখা হয়েছে। অনেক দিক থেকেই সংসদের এই শীত কালীন অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে বিতর্ক বেশ জমে উঠবে বলেই অনুমান।