কলকাতা: আজ তাঁর বাড়িতে অমিত শাহ। যে-সে নেতা নন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ অমিত শাহের সারাদিনের সফরসূচিতে ফোকাসে তাঁর বাড়ির হেঁসেল। যেখানে সকাল থেকেই যেন উৎসবের আমেজ। কোমর বেঁধে চলছে রান্নাবান্না। নবীন বিশ্বাসের স্ত্রীই নিজে হাতে রাঁধেন অমিত শাহের জন্য। কোনও শাহী মেনু নয়, নবীনের কথায় 'সাদা-মাটা রান্না'।

নিজে হাতে রেঁধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খাওয়ান নবীন বিশ্বাসের স্ত্রী। অমিত শাহর মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে ছিল, ভাত, রুটি, শুক্তো, ছোলার ডাল, মুগের ডাল, বেগুন ভাজা, পনির, জলপাইয়ের চাটনি ও নলেন গুড়ের পায়েস। মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজের আগে বাগুইআটির জ্যোতিনগরে মতুয়াদের মন্দিরেও যান অমিত শাহ।

সেই বাড়ির গৃহকর্তা নবীন বিশ্বাসের স্ত্রীয়ের দাবি, 'সবকিছু তৃপ্তি করে খেয়েছেন অমিত শাহ। পায়েস কম খেয়েছেন কারণ মিষ্টি বেশি ছিল।' বাড়ির কর্তার দাবি, 'উনি সব থেকে ভাল খেয়েছেন নলেন গুড়ের পায়েস। উনি বলে গিয়েছেন বাংলার বিখ্যাত নলেন গুড়ের পায়েস আবার খেতে আসব যদি কলকাতায় আসি।'

রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের নাগরিকত্ব-সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে কোণঠাসা করে নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলেছে বিজেপি। যাঁর কৌশলে বিজেপির এই সাফল্য, সেই অমিত শাহ-র বঙ্গ সফর শুরুর ঠিক আগে মতুয়াদের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, যাঁরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, তাঁরা জানেন না, মতুয়াদের জন্য আমরাই আগে সবকিছু করেছি। বড়মারও দেখভালের দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, 'এখন অনেক নতুন নতুন নেতা এসে উদ্বাস্তুদের জন্যে জমির দলিল নিয়ে বলছেন। কিন্তু আমি এটা ৮৭-৮৮ সাল থেকে করছি। ওখানে চাকলা, কচুয়া, মধ্যমগ্রাম ও মতুয়াদের নিয়ে ট্যুরিজম মাধ্যমে উন্নতি হচ্ছে। মতুয়া বোর্ড তৈরি করা হচ্ছে।'

এর উত্তরে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'করে দেব, করে দিচ্ছি, এগুলো তো বলতে হচ্ছে কারণ এতদিন কিছু করেননি, আমরা ওই ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিই না'।