হাওড়া: ঘূর্ণিঝড় উমপুনে রাজ্যে প্রথম মৃত্যু। হাওড়ায় মৃত্যু হল ১৩ বছরের এক কিশোরীর। সূত্রের খবর, হাওড়ায় রাজ কিশোর চৌধুরী লেনে টিন উড়ে মৃত্যু হল লক্ষ্মী কুমারীর। হাওড়াবাসী রাজেশ সাউয়ের মেয়ে লক্ষ্মী কুমারী। ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন মিনাখাঁর ৫৬ বছরের নুরজাহান বেহেরারও। গাছ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই নিয়ে রাজ্যে দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।


প্রাণহানি না হলেও কার্যত ধ্বংসের মুখে নামখানা। এখনও পর্যন্ত সেখানে সবথেকে বেশি গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী ঝড়ের গতি সবথেকে বেশি কাকদ্বীপ ও বকখালিতে। উপকূলের এই অঞ্চলগুলোতে  সবথেকে বেশি কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।


হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী এই মুহূর্তে সোনারপুর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে উমপুন। নবান্ন থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভায় বসে শহরের সমস্ত ঘটনার ওপর নজর রাখছেন প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।


এবিপি আনন্দকে তিনি জানিয়েছেন, “সারা রাজ্যেই ঝড়ের তাণ্ডব চলছে। এই সময়ে কর্মীদের বার করাও আমাদের পক্ষে ঝুঁকির। ঝড় কেটে গেলেই কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে নামব। এখন স্রেফ অভিযোগগুলো লিখে রাখছি। বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার আশঙ্কা থাকলেও এখনও সেভাবে কোনও খবর আসেনি। আমি তো রাতে থাকছি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাতে থাকবেন। সব স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব, তবে জীবনহানি হলে তা ফেরাতে পারব না।”