শ্রীনগর: তিন মাসের মধ্যে পাঁচবার। ২০ জুন থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান ড্রোন থেকে অস্ত্র বৃষ্টি হল উপত্যকার মাটিতে। আজ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আখনুর সেক্টরে পাক ড্রোন থেকে অস্ত্র ভর্তি ব্যাগ ফেলা হয়। অস্ত্র ফেলার পরে ড্রোনটি পাক ভূখণ্ডে উড়ে যায় বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে আখনুর সেক্টর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পাল্লানওয়ালার একটি শুকনো ছোট নদীতে সোহাল খাদে ওই অস্ত্রগুলি ফেলা হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখে নিয়্ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তজার্তিক সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্টে ওই জায়গাটির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিকের কথায়, ’’আমরা একটি অস্ত্রভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করি। তার মধ্যে ছিল ২টি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল। ৩টি একে ম্যাগাজিন, ৯০টি একে বুলেট( যার প্রতিটির মাপ ৭.৬২ এমএম), পিস্তল ম্যাগাজিন-সহ কিছু বুলেট।‘‘
১৯ সেপ্টেম্বরই রাজৌরি সেক্টরে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের জন্য অস্ত্র ফেলেছিল পাকিস্তান। তারপর সাতদিনও পেরয়নি, ফের এই ঘটনা। সন্ত্রাসবাদীরা মুঘল রোড হয়ে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পৌঁছে অস্ত্রগুলি সংগ্রহ করে। এরপর তাদের গ্রেফতার করে নিরাপত্তাবাহিনী। সেদিনের ঘটনায় যে তিন লস্কর জঙ্গিকে নিরাপত্তাবাহিনী গ্রেফতার করেছিল, তারা হল রাহিল বাসির ওরফে আয়ান ভাই। আমির জান ওরফে হামজা, হাফিজ ইউনুস ওয়ানি ওরফে জুবের। সেদিনও ২টি একে ৫৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৬টি একে ম্যাগাজিন, প্রচুর গোলাবারুদ, ৩টে গ্রেনেড, ৩টে পিস্তল ম্যাগাজিন –সহ ৩০ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার হয়। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকাও পাওয়া গিয়েছিল।
২০ জুন কাথুয়া জেলার হীরানগরে এ রকম একটি অস্ত্র বোঝাই পাক ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। জম্মু-কাশ্মীর ডিজিপি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন পাহাড়-পর্বতে ঢাকা উপত্যকার মাঝে ড্রোন থেকে এভাবে ফেলা অস্ত্র উদ্ধার করা নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের।