নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গের ২ সেনা জওয়ানের নিহত হওয়ার জবাব হিসেবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গি-শিবির গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তাংধরের ঠিক ওপারে গজিয়ে ওঠা জঙ্গি লঞ্চপ্যাড লক্ষ্য করে শেলিং করে ভারত। তাতে অন্তত ২২ জন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। নিহত ১১ পাক সেনাও। এই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। উপত্যকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গি শিবিরগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে একেবারে আর্টিলারি বা কামান ব্যবহার করা হয়। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে নীলম উপত্যকায় থাকা অন্তত চারটি জঙ্গি-শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, অন্তত ৭টি প্রধান জঙ্গি শিবির ধ্বংস হয়েছে। এর পাশাপাশি, অন্তমুকামে অবস্থিত পাক সেনার জেলা সদর লক্ষ্য করেও কামান দিয়ে জবাব দেওয়া হয়।





যদিও, ভারতীয় সেনার দাবিকে খারিজ করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের তরফে পাল্টা দাবি করে বলা হয়, ১ পাক সেনা ও ৩ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৫ নাগরিক আহত হয়েছে। পাক সেনা আরও দাবি করে, ৯ ভারতীয় সেনা জওয়ান মারা গিয়েছে। ভারতীয় সেনার ২টি বাঙ্কার ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে এদিন ভোররাতে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার তাংধর সেক্টরে পাকিস্তানের গোলাগুলিতে ২ ভারতীয় জওয়ানের নিহত হওয়ার জবাব হিসেবেই এই আর্টিলারি স্ট্রাইক করা হয় সেনার পক্ষ থেকে। এদিন সকালেই তাংধরে বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গ করে ভারী গোলাগুলি চালায় পাক সেনা। তাতে ২ ভারতীয় সেনা জওয়ান ও এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। তাংধরের জনবসতি লক্ষ্য করে ছোঁড়া পাক গোলায় একটি বাড়ি, চালের গুদাম, ২টি গাড়ি, ১৯টি গবাদি পশু সমেত ২টি গোয়াল ধ্বংস হয়। এছাড়া, চিত্রকূট গ্রামে ৬টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
গত ১৩ তারিখও জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার অন্তর্গত উরি সেক্টরে পাক গোলাগুলিতে এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংহ বলেন, জঙ্গি অনুপ্রবেশ করার লক্ষ্যেই বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গ করছে পাকিস্তান।