রোহতক (হরিয়ানা): ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে স্যাম পিত্রোদার মন্তব্যে ঝড়। কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে ওই ঘটনা নিয়ে অসংবেদনশীল মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী ১৯৮৪ র দাঙ্গায় শিখ ‘হত্যা’র নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিজেপির এই অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে পিত্রোদা মন্তব্য করেন, ৮৪তে শিখ গণহত্যা হয়েছিল, হুয়া তো হুয়া!
বিজেপি এর তীব্র নিন্দা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিত্রোদার মন্তব্যের সূত্রে কংগ্রেসের এটাই ‘চরিত্র’, ‘মানসিকতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। আজ হরিয়ানার রোহতকে ষষ্ঠ দফার ভোটপ্রচারে এতে কংগ্রেসের ‘ঔদ্ধত্য’ ফুটে উঠেছে বলেও অভিমত জানান তিনি।
মোদি বলেন, যে কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি সময় দেশ শাসন করেছে, তাদের মধ্যে যে অসংবেদনশীলতা আছে, গতকালের বলা শব্দগুলিতে তারই ছাপ স্পষ্ট। এগুলি নিছক কথার কথা নয়, কংগ্রেসের এটাই মানসিকতা, চরিত্র, অভিসন্ধি। আর শব্দগুলি কী? হুয়া তো হুয়া। তিনটে শব্দেই যারা কংগ্রেস চালাচ্ছে, তাদের ঔদ্ধত্যটা খুব ভালো বুঝতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় নেতাদের একজন ১৯৮৪ নিয়ে জোর গলায় বলেছেন, ৮৪-র দাঙ্গা হয়েছে তো হয়েছে! জানেন কে সেই নেতা, উনি গাঁধী পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ। উনি ছিলেন রাজীব গাঁধীর খুব ভাল বন্ধু, কংগ্রেসের ‘নামদার’ সভাপতির ‘গুরু’ও।







কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ট্যুইট করেছেন, পিত্রোদার ‘হুয়া তো হুয়া’ মন্তব্যে ১৯৮৪-র গণহত্যায় কংগ্রেসের যে বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই, সেটা স্পষ্ট। এটা চরম লজ্জার। ১৯৮৪তে সবচেয়ে দেশপ্রমিক সম্প্রদায়ের গণহত্যাকে ফুত্কারে যিনি উড়িয়ে দিতে পারেন, সেই ‘গুরু’কে কি তাড়াবেন কংগ্রেস সভাপতি?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর পিত্রোদার মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, সনিয়া গাঁধী, রাজীব গাঁধীর এজন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। আজ আরও একটি বিপজ্জনক মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, শিখদের যন্ত্রণা বুঝতে পারি, কিন্তু আজ তার প্রাসঙ্গিকতা নেই। এও বলেছেন যে, রাজীব গাঁধী, রাহুল গাঁধী কখনই একটি সম্প্রদায়কে টার্গেট করার পক্ষপাতী নন। তাহলে ১৯৮৪র শিখ গণহত্যার সাফাই দিয়ে ‘একটা বড় গাছ পড়ে গেলে মাটি কাঁপবেই’, রাজীব গাঁধীর ওই মন্তব্যের কী ব্যাখ্যা দেবেন উনি? এটা দাঙ্গার সমর্থনে যুক্তি দেওয়া নয়তো কী?