নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাসের দাপট অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপদ এখনও কাটেনি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের প্রকোপ রুখতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করেছিল। সেইসঙ্গে জারি করা হয় কিছু নিষেধাজ্ঞাও। এরইমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা কমায় ক্রমশ শিথিল করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যেই। এবার রাজ্যে সংক্রমণের হার কমায় গুজরাত ও হরিয়ানায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী কানওয়ারলাল গুর্জর রাজ্যে শর্তসাপেক্ষে স্কুল খোলার ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদ্শ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করা হবে। রাজ্যে ১৬ জুলাই থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠনের জন্য স্কুল খুলবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্য শ্রেণীগুলির জন্যও স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


অন্যদিকে, গুজরাতেও খুলতে চলেছে স্কুল । তবে তা শুধু দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেছেন, , গুজরাতে ১৫ জুলাই থেখে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলবে। তবে ক্লাসে ৫০ শতাংশ পড়ুয়াকেই আসার অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের জন্য কলেজ খুলবে ১৫ জুলাই থেকে।কিন্তু এক্ষেত্রেও হাজিরার সংখ্যা ৫০ শতাংশ থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, স্কুল ও কলেজ উভয় ক্ষেত্রেই আসার বিষয়টি পড়ুয়াদের ওপরই নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। 


হরিয়ানা ও গুজরাত দুটি রাজ্যেই এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজেশনের মতো করোনা বিধি পালন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 


এর আগে করোনা বিধি মেনে  বিহারে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরুর কথা জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কলেজ খুলবে। ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী নিয়ে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মী, শিক্ষক, ছাত্রদের টিককরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।