নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ এখনও অব্যাহত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও চলছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সাধারণ মানুষের কাছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিয়ম পালন করার আর্জি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, এখনও দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব অগ্রবাল বলেছেন, সমস্ত আপৎকালীন সাবধানতা পালন করা একান্তই প্রয়োজন। কারণ, ব্রিটেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াতেও করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে বিধিনিষেধে যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।
লব অগ্রবাল বলেছেন, দেশে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা কমেছে। বিগত সপ্তাহে দেশে গড় দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ৮ শতাংশ কমেছে। তিনি আরও বলেছেন, এখন দেশের মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশ হচ্ছে ৯০ টি জেলাতে। তিনি আরও জানিয়েছে, দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়েছে। দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৭.২ শতাংশ।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পর্যটন স্থলগুলিতে লোকজনের কোভিড প্রোটোকল না মেনে একে অপরের সঙ্গে ঘোরাফেরার যে ভিডিও দেখা গিয়েছে, তা খুবই চিন্তার ব্যাপার। ভারতে গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক ছিল দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও কেরলে। ১৭ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬৬ জেলায় ৮ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি ছিল।
অন্যদিকে, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পল বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে কেরলে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় একটি দল কেরল পরিদর্শনে গিয়েছে। যদিও তারা সে রাজ্যের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে, সর্বোপরি সংক্রমিতের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এর পরেই রয়েছে কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু।