তৃণমূলকে আক্রমণ করে মিম প্রধান আরও বলেন, ‘আপনারা তো বিজেপি-কে আটকাতে পারছেন না। আপনাদের দল ছেড়ে এতজন বিজেপি-তে যাচ্ছেন। তাঁরা কি আমাদের সঙ্গে কথা বলে তারপর বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন? তাঁরা কেন মমতাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, সেটা তৃণমূলকে বলতে হবে। বাংলায় উন্নয়ন হয়নি, অনগ্রসর শ্রেণি রাজনৈতিক ক্ষমতা পায়নি। আমরা এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করব।’
ওয়েইসিকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'আসাদউদ্দিন ওয়েইসি যে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকটি নতুন বিষয়। হয়তো ওয়েইসি বুঝতে পেরেছেন, বাংলায় ওঁর কোনও প্রভাব খাটবে না। তার কারণ, বাংলায় উর্দুভাষী মুসলমানের সংখ্যা কম। উনি এখন ফুরফুরার পীরজাদা সাহেবের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তবে আমার মনে হয় এতে সামগ্রিক কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ, মানুষ বোঝে, ওয়েইসি বিজেপি-র হয়ে ভোট কাটার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অমিত শাহের নির্দেশে চলেন। তাঁকে সমর্থন করা মানে শেষ পর্যন্ত বিজেপি-কে সমর্থন করা। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নিরাপদ রয়েছে ও ভাল রয়েছে। আমার বিশ্বাস এবং আশা তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ও তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবেন। আমি বাংলার মুসলমানদের আহ্বান করছি, ওয়েইসিকে সামগ্রিকভাবে প্রত্যাখান করুন।'
ওয়েইসির এই সফর নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'এতদিন খান, ওয়েইসি, কুরেসিকে একা পকেটে নিয়ে ঘুরছিল। এখন আর একজন এসে গেছেন তাদের ভোটের জন্য। আসতেই পারেন। ভারতে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোট হয়। তারা পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে ওদের খুব দুঃখ ও কষ্ট হচ্ছে। ওরা ভেবেছিল খান, ওয়েসি, খুরেসিকে দিয়ে সরকার গড়বে। ২০২১-এ সরকার গড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টিই। কোনও খান, কোনও ওয়েইসি, কোনও কুরেসি, কোনও ফুরফুরা শরিফ সরকার গঠন করবে না।'
বিহারের বিধানসভা ভোটে পাঁচটি আসন জয়ের পর মিমের নজর যে বাংলায়, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওয়েইসি। শুধু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা, মুর্শিদাবাদ নয়, রাজ্যজুড়ে শাখাপ্রশাখা ছড়িয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তারা যে টক্কর দিতে চায় তাও জানিয়ে দিয়েছে মিম। যদিও ওয়েইসির বাংলা সফরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।