জয়পুর: কাল রাজস্থান মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। তার আগে আজ পদত্যাগ করলেন সব মন্ত্রী। আজ সন্ধে সাতটায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বাসভবনে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের পর পদত্যাগ করেন সব মন্ত্রী। কাল দুপুর দুটোয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বৈঠক। তারপরেই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।


রাজস্থানের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রতাপ খচারিয়াওয়াস জানিয়েছেন, ‘সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কাল দুপুর দুটোয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে সবাইকেই যেতে হবে। বৈঠকেই আমাদের পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।’


শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন গোবিন্দ সিংহ দোতাসরা, হরিশ চৌধুরী ও রঘু শর্মা। এরপর আজ পদত্যাগ করলেন বাকি মন্ত্রীরা। কাল নতুন মন্ত্রীরা রাজভবনে শপথ গ্রহণ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। কাল বিকেল চারটে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে।


এর আগে আজ গহলৌত, রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দোতাসরা ‘কিষাণ বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য পেশ করেন। তারপর একটি হোটেলে বৈঠক করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক।


গতকাল রাতে জয়পুরে পৌঁছন মাকেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, যে তিন মন্ত্রী সনিয়াকে চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাঁরা দলের জন্য কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন।


গোবিন্দ দোতাসরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। হরিশ চৌধুরী ও রঘু শর্মা যথাক্রমে পঞ্জাব ও গুজরাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা। তাঁদের পদত্যাগের ফলে রাজস্থান মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ২১ থেকে কমে হয় ১৮। নিয়ম অনুযায়ী, রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী সহ সর্বোচ্চ ৩০ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন।


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের শিবিরের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। পাইলট শিবির বেশ কিছুদিন ধরেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। এবার সেই সম্প্রসারণ হতে চলেছে।