AYODHYA VERDICT LIVE UPDATE: অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট মোদি, অমিত শাহ, রাহুল গাঁধীর

AYODHYA VERDICT LIVE UPDATE: সকাল সাড়ে ১০টায় অযোধ্যা মামলা রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। রায়দান করবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের ১ নম্বর ঘর খোলা হবে রায় ঘোষণার জন্য।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 09 Nov 2019 06:07 PM
সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায় স্বাগত রাহুল গাঁধীর। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, অযোধ্যা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট তার মতামত দিয়েছে। আদালতের এই রায়কে সম্মান জানিয়ে সবার নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখা উচিত। এটা সব ভারতবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস, প্রেম-ভালবাসা বজায় রাখার সময়।
অযোধ্যা-মামলা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন-- অযোধ্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর ট্যুইট, দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। এই রায়কে কারও হার বা জিত হিসেবে দেখা উচিত নয়। রামভক্তি বা রহিমভক্তির চেয়ে ভারতভক্তির ভাবনাকে শক্তিশালী করা জরুরি। দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন, শান্তি-সদ্ভাব-একতা বজায় রাখুন।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অনেক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বিবাদের মীমাংসায় আইনি প্রক্রিয়া পালন কত গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝাল এই রায়। প্রতি পক্ষকে নিজের কথা বলবার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কয়েক দশকের পুরনো মামলার সৌহার্দ্যপূর্ণ উপায়ে সমাধান হয়েছে।
এই রায় বিচারপদ্ধতির উপর মানুষের বিশ্বাস আরও মজবুত করবে। আমাদের দেশে হাজার বছরের পুরনো সৌভ্রাতৃত্বের ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ১৩০ কোটির ভারতীয়কে শান্তি-সংযমের পরিচয় দিতে হবে। ভারতের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অন্তর্নিহিত ভাবনার পরিচয় দিতে হবে।
অযোধ্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে শান্তি বজায় রাখার আবেদন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, এই রায়কে স্বাগত জানাই। এই রায়কে সম্মান জানিয়ে শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখার জন্য সমস্ত সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। একতা ও ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার সংকল্পে স্থির থাকতে হবে।
আমরা সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এই মামলাটি কয়েক দশক ধরে চলছিল এবং শেষ পর্যন্ত এটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এটিকে জয় বা পরাজয় হিসাবে দেখা উচিত নয়। আমরা সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মোহন ভাগবত।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি, দেশের ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রত্যেকের সহযোগিতা করা উচিত, উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যে শান্তি, সুরক্ষা এবং সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ট্যুইট যোগী আদিত্যনাথের।


আদালতের এই সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় করবে। আমাদের দেশের ভ্রাতৃত্বের চেতনার কথা মাথায় রেখে আমাদের ১৩০ কোটি ভারতীয়কে শান্তি ও সংযমের পরিচয় দিতে হবে। অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
অযোধ্যা মামলায় সর্বসম্মতিতে আসা এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। সবাইকে অনুরোধ এই রায়কে সহজ ভাবে নিয়ে শান্তি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায় রাখুন ও 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করুন।
''সুপ্রিম কোর্টের রায় দিয়েছে। আমরা রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে। এই রায় কেবলমাত্র মন্দির নির্মাণের জন্যই দ্বার উন্মুক্ত করল তাই নয়, বিজেপি এবং অন্যদের এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার দরজা বন্ধ করে দিল।'', বললেন রণদীপ সুরজেওয়ালা।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরিয়াব জিলানী বলেন, আমরা শীর্ষ আদালতের রায়কে সম্মান করি তবে আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবব।
প্রত্যেকেরই সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়ে শান্তি বজায় রাখা উচিত, বললেন নীতিন গডকড়ী।

হিন্দু মহাসভার আইনজীবি বরুণ কুমার সিনহা বলেন, এটি ঐতিহাসিক রায়। এই রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে।

হিন্দু মহাসভা আইনজীবী, বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'অযোধ্যার একটি বিশিষ্ট স্থানে সুন্নি ওয়াকফকে পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়ার জন্য।'

অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামলালার, জানাল আদালত
মন্দির নির্মাণের নিয়ম তৈরির নির্দেশ দিল আদালত।
‘অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে’, বলল আদালত
অধিকার কেবলমাত্র বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে দেওয়া যায় না, বলল আদালত।
বিতর্কিত জমি রামলালার, বলল সুপ্রিম কোর্ট
‘জমি তিনভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না, দু’পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সংবিধান সব ধর্মকে সমান মর্যাদা দিয়েছে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প জমি দেওয়া জরুরি’, বলল আদালত
‘৩ মাসের মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি করুক কেন্দ্রীয় সরকার’
'সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র জমি দেওয়া হোক’, বলল আদালত
ট্রাস্ট বানিয়ে মন্দির নির্মাণের আদেশ সুপ্রিম কোর্টের
‘১৮৫৬-র আগে হিন্দুরাও ভিতরে পুজো করত। আটকানোর পর হিন্দুরা বাইরে পুজো করতে শুরু করে। ব্রিটিশরা দু’পক্ষকে আলাদা করতে রেলিং লাগিয়েছিল’, বলল আদালত
‘কাঠামোর নিচে যা পাওয়া গিয়েছে তাতে প্রমাণ হয় না, ওটা হিন্দুদের’, বলল আদালত।
‘১৮৫৬-৫৭ পর্যন্ত ওখানে নমাজ পড়া হয়েছে, এমন প্রমাণ নেই’, মত আদালতের।
‘জমির নিচে কাঠামো ছিল। খননে যা পাওয়া গেছে, তা ইসলামিক স্থাপত্য নয়। বিতর্কিত কাঠামোয় পুরনো পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দির ভেঙে তা তৈরি হয়েছে, এমন প্রমাণ নেই। হিন্দুরা অযোধ্যাকেই রামের জন্মস্থান বলে মনে করে। সেই দাবির কেউ বিরোধিতা করেনি। হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত জায়গায় পুজো করে। হিন্দুরা ওই জায়গাতে পরিক্রমাও করেন। রামলালা প্রমাণ হিসেবে ঐতিহাসিক গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছে। অধিকার কেবলমাত্র বিশ্বাসের জোরে দেওয়া যায় না। সুন্নিরা এই জায়গায় মসজিদ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।', বলল আদালত।
‘জমির নিচে কাঠামো ছিল, খননে যা পাওয়া গেছে, তা ইসলামিক স্থাপত্য নয়। বিতর্কিত কাঠামোয় পুরনো পাথর ব্যবহার করা হয়েছে’, জানাল আদালত।
‘রামলালা’কে আইনি স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। খননকার্য থেকে প্রমাণ মিলেছে, তা খারিজ করা সম্ভব নয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশ যুক্তিযুক্ত ছিল। তাকে খারিজ করার দাবি ঠিক নয়। বাবরি মসজিদ খালি জমিতে তৈরি হয়নি’, বলল আদালত
‘রামলালা’কে আইনি স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। খননকার্য থেকে প্রমাণ মিলেছে, তা খারিজ করা সম্ভব নয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশ যুক্তিযুক্ত ছিল, তাকে খারিজ করার দাবি ঠিক নয়’
‘১৫২৮ সালে মসজিদ তৈরি হয়েছে বলা হচ্ছে। কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তাতে কিছু আসে যায় না। কারও আস্থা যেন অন্যের অধিকার হরণ না করে।', রায়ে জানালেন প্রধান বিচারপতি
‘১৯৪৯-র ২২,২৩ ডিসেম্বর মূর্তি রাখা হয়। হাদিস-এর ব্যাখ্যা আদালত করতে পারে না। এখানে নমাজ পড়া হয়। যেখানে নমাজ পড়া হয় সেই স্থলকে মসজিদ বলার অধিকার হরণ করতে পারি না’। নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ। রামলালাকে প্রধান পক্ষ মানল আদালত।
নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ
'মসজিদ কবে তৈরি হয়েছে, তাতে কিছু আসে যায় না', বলল আদালত
রায় পড়া শুরু প্রধান বিচারপতির, ৫ বিচারপতির এক রায়
'আমাদের সকলের সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলা উচিত। আমি বরাবর শান্তির পূজারী।', বললেন অধীর রঞ্জন চৈধুরী।
অযোধ্যা মামলার রায়দান: অমিত শাহর সঙ্গে আজ বৈঠকে ডোভাল, গোয়েন্দাপ্রধান অরবিন্দ কুমার
সাড়ে ১০টায় রায়দান। আদালতের বাইরে জড়ো হয়েছেন আইনজীবীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল, গোয়েন্দা প্রধান অরবিন্দ কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
অযোধ্যার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গাঁধী শনিবার জনগণকে ভারতের ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতির শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের পুলিশের ডিজিপি , ওপি সিং জানিয়েছেন, আমরা রাজ্য জুড়ে ধর্মীয় প্রধান ও নাগরিকদের সঙ্গে প্রায় ১0,000 টি সভা করেছি। আমরা রাজ্যের লোকদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব না ছড়ানোর জন্য আবেদন করছি।
নিজের বাড়িতে বিজেপির মুখপাত্রদের বৈঠকে ডাকলেন অমিত শাহ।
রায় বেরনোর পর দুপুর ১ টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত।
অযোধ্যা রায়ের আগে আধাসামরিকদের সহায়তায় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কোনও দুর্ঘটনার প্রশ্নই আসে না, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের সুরক্ষা হোক বা কোনও ভিআইপি-ভিভিআইপির সুরক্ষা, কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যায় না, জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আইডি শুক্লা।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যা রায়দানের আগে রাজ্যের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। রায় দেওয়ার আগে অযোধ্যার মন্দির ও শহরে বহুস্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অযোধ্যায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, নজরদারি করা হচ্ছে আকাশপথেও। সতর্ক পুলিশ। চলছে চেকিং। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে অযোধ্যায় মোতায়েন এডিজি র‌্যাঙ্কের অফিসাররা। জানালেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিংহ।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শুক্রবার জনগণকে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়কে জয় বা পরাজয় হিসাবে না দেখার আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রী, জনগণকে গুজবে বিশ্বাস না করার এবং শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে অনুরোধ করেন। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন যোগী। তিনি বলেন, তাঁর সরকার রাজ্যে যে কোনও মূল্যে শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতপুরে আগামীকাল সকাল ৬টা অবধি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল রাজস্থান সরকার।
আজ অযোধ্যা রায়। রাজস্থানে শনিবার সব স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
অযোধ্যার অস্থায়ী রামমন্দিরের মুখ্য পুরোহিত মহান্ত সত্যেন্দ্র দাস বললেন, সবাইকে আদালতের রায়কে সম্মান দিতে অনুরোধ করছি, শান্তি বজায় রাখুন।
কড়া নিরাপত্তা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বাড়ির সামনে।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি:আজ বহু-প্রতিক্ষীত অযোধ্যা-মামলার রায়দান। সকাল সাড়ে ১০টায় অযোধ্যা মামলা রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। রায়দান করবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের ১ নম্বর ঘর খোলা হবে রায় ঘোষণার জন্য। শুধুমাত্র এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদেরই আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকার অনুমতি রয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস এ নাজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চ ঘোষণা করবে মামলার রায়। মামলার প্রধান তিন পক্ষ হল - নির্মোহী আখড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং রামলালা।





 



 


 


 


 


 


 


 



নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই চার হাজার আধা সেনা অযোধ্যায় পাঠিয়েছে কেন্দ্র। র্যারফ এবং বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডও তৈরি রয়েছে! অযোধ্যার সমস্ত হোটেল, গেস্ট হাউস এবং লজের ওপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র। অযোধ্যার অলিগলিতে নজরদারির জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ড্রোনের। বিতর্কিত ভূমির আশেপাশে ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। প্রত্যেকের গতিবিধির ওপর নজর রেখে চলেছে প্রশাসন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আজ থেকে আগামী ৩দিন অযোধ্যার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সকাল সাড়ে ১০টায় অযোধ্যা মামলার রায়দান। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
বহু প্রতিক্ষীত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায়দানের আগে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, 'ফয়সলা যে দিকেই যাক, কারও হার-জিত হবে না'।




একইসঙ্গে, সকলকে বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখার আর্জি জানিয়েছেন জামা মসজিদের শাহি ইমাম সঈদ আহমেদ বুখারি। শুক্রবার, এক বিবৃতি দিয়ে বুখারি বলেন, দেশের কাছে এটা পরীক্ষার সময়। উভয় তরফেই প্রচণ্ড আবেগ রয়েছে। তবে, আমি ভারতের বিবেকের কাছে বলব সতর্ক থাকুন ও বিচারবিভাগের ওপর ভরসা রাখুন।
এর আগে, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন। সকলেই আবেদন করেছে, শান্তি বজায় রাখার জন্য। আদালতের রায়কে সম্মান দেওয়ার জন্য।
শুক্রবার, আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার হাল-হকিকৎ খতিয়ে দেখতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব রাজেন্দ্র কুমার তিওয়ারি ও রাজ্য পুলিশের ডিজি ওমপ্রকাশ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন। খবরে প্রকাশ, এদিন রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিককে সুপ্রিম কোর্টের নিজ চেম্বারে ডেকে পাঠান গগৈ। সেখানে প্রধান বিচারপতিকে সুরক্ষা বন্দোবস্তের বিস্তারিত ব্লু-প্রিন্ট পেশ করেন মুখ্যসচিব ও ডিজি। একইসঙ্গে আশ্বাস দেন, যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত পুলিশ-প্রশাসন।
আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, যারা শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করতে। সকল আধিকারিকদের অত্যন্ত সতর্ক ও সজাগ থাকারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অগাস্ট ও অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ৪০ দিন ধরে প্রতিদিন অযোধ্যা-মামলার শুনানি হয়েছে শীর্ষ আদালতে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায়ে বলেছিল-- ২.৭৭ একর জমি সমভাগে রামলাল্লা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়ার মধ্যে ভাগ করতে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.