BABRI DEMOLITION CASE VERDICT LIVE UPDATES: ৩২ জন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস, 'উচ্চতর আদালতে যাব', বলল মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড
২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা করবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত
রায় ঘোষণার পরই আডবাণীকে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ। আডবাণীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান জে পি নাড্ডা। রায়ের পরেই কোর্ট জুড়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
এদিন বাবরি-মামলায় ৩২ জন অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে দেয় বিশেষ আদালত। ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না, জানিয়েছিলেন বিচারক। আচমকা ঘটেছে এই ঘটনা, জানিয়েছিলেন বিচারক। ভিড়ের ফলে ঘটেছে এই ঘটনা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরাল সাক্ষ্য বলে কিছু নেই, বলে জানিয়ে দেন বিচারক। বাবরি ধ্বংসের ভিডিও ছবি বিকৃত করা হয়েছে বলেও জানান বিচারক। তিনি বলেন, ‘যে ছবি তোলা হয়েছে, তার নেগেটিভ নেই সিবিআই-এর কাছে।’
রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের।
৩২ জন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস। বাবরি-মামলায় সব অভিযুক্ত খালাস। ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না, জানিয়েছিলেন বিচারক। আচমকা ঘটেছে এই ঘটনা, জানিয়েছিলেন বিচারক। ভিড়ের ফলে ঘটেছে এই ঘটনা।
Babri Masjid Case Hearing LIVE: বাবরি-মামলায় সব অভিযুক্ত খালাস, রায় আদালতের
বাবরি-মামলায় সব অভিযুক্ত খালাস। ৩২ জন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস। রায় আদালতের। ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। আচমকা ঘটেছে এই ঘটনা, বলেছেন বিচারক।
লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, কল্যাণ সিংহ, উমা ভারতী, সতীশ প্রধান ও মহন্ত নিত্যগোপাল দাস ছাড়া সকলেই বিশেষ সিবিআই আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন। পৌঁছে গিয়েছেন বিচারকও। আর কিছুক্ষণের মধ্য়েই রায় ঘোষণা।
লখনউয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায়। ইতিমধ্যে কোর্টরুমে পৌঁছে গিয়েছেন বিচারপতি এস কে যাদব। পৌঁছে গিয়েছেন প্রায় ২০ জন অভিযুক্ত।
প্রায় তিন দশক পর, আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী সহ একাধিক নেতা-নেত্রীর। যদিও করোনা আবহে বয়সজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না আডবাণী-জোশী। কল্যাণ সিংহ এবং মহন্ত নিত্যগোপাল দাসও আদালতে থাকবেন না বলে জানা গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত উমা ভারতী হাসপাতালে ভর্তি। ফলে আজ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তিনিও হাজির থাকছেন না।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়। ২৮ বছর পর, আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা করবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
হাইপ্রোফাইল এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীমনোহর জোশী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার, বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ সহ ৪৯ জনের নাম। তবে বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। অর্থাৎ বর্তমানে ৩২ জন অভিযুক্ত জীবিত রয়েছেন।
আজ আডবাণী সহ সব অভিযুক্তকেই আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও, সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থাকায় এদিন অনেক হাই-প্রোফাইল অভিযুক্ত উপস্থিত থাকবেন না। জানা গিয়েছে, আডবাণী বা জোশী-- কেউই আদালতে উপস্থিত থাকবেন না। প্রথমজনের বয়স ৯২, দ্বিতীয়জনের ৮৬। তাঁরা অব্যাহতি চেয়েছেন।
অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত উমা ভারতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই তিনিও থাকতে পারবেন না। কল্যাণ সিংহ করোনা থেকে আরোগ্যলাভ করছেন। তিনিও আইসোলেশনে রয়েছেন। একইভাবে, আইসোলেশনে রয়েছেন রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান মহন্ত নিত্যগোপাল দাস।
বিচার চলাকালীন যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন-- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে, বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অশোক সিঙ্ঘল, বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সহ সভাপতি আচার্য গিরিরাজ কিশোর, বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি বিষ্ণু হরি ডালমিয়া, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ও যোগী আদিত্যনাথের গুরু মহন্ত অবৈদ্যনাথ, ফৈজাবাদ হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন নগর সভাপতি মহন্ত পরমহংস দাস ও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বিজয়রাজে সিন্ধিয়া।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হাতে ধ্বংস হয়ে যায় অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। সেই ঘটনায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়। একটি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, অপরটি প্ররোচনার।
২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট দু’টি মামলা জুড়ে দেয়। শুনানির জন্য লখনউতে এক বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। বিচার চলাকালীন মোট ৩৫৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এবছরের ২৩ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে মুরলীমনোহর জোশীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। পরদিন লালকৃষ্ণ আডবাণীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। দু’জনই বাবরি ধ্বংসের দিন অযোধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতে বয়ান দিতে গিয়ে অবশ্য তাঁরা নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -