কলকাতা: আগামীকাল মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব বকরি ইদ। নবী ইব্রাহিম বা আব্রাহামকে সম্মান জানাতে এই উৎসব উদযাপন করা হয়। নবী ইব্রাহিম ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে নিজের ১৩  বছরের সন্তানের বলিদান দিতেও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। 


নবী ইব্রাহিমের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে বকর ইদের দিন লোকজন পশু বলিদান দেন এবং মাংস আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করেন। সারা বিশ্বের মুসলিমরা উৎসব উদযাপনে প্রার্থনার জন্য মসজিদগুলিতে সমবেত হন। তবে এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের তুলনায় একেবারেই আলাদা। সারা বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস অতিমারী। তাই বকরি ইদ উদযাপনেও থাবা বসিয়েছে করোনার হানা। 


সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কোভিড ১৯ বিবি কঠোরভাবে পালন করা দরকার। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা যথাযথভাবে পালন করা হলে, উৎসব চলাকালে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। যেহেতু প্রার্থনার জন্য অনেক বেশি মানুষ সমবেত হয়ে থাকেন, সেজন্য সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি প্রবল থাকে। তাই প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পবিত্র এই উৎসবে নির্দিষ্ট কিছু সতর্কতামূলক বিধি অবশ্যই পালন করা দরকার।


-প্রার্থনা করতে যাওয়ার সময় সবসময় অন্তত ১ মিটারের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন


- খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই যেন মুখে মাস্ক থাকে। এবং মাস্ক যাতে সঠিকভাবে পরা থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। 


- বয়স যদি ৬০-এর বেশি হয় এবং ডায়বেটিস, কার্ডিয়াক অসুখ, ফুসফুসের পুরানো অসুস্থতা, কিডনির পুরানো অসুস্থতা বা ক্যানসার আক্রান্ত হলে যে কোনও ধরনের সামাজিক জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে। 


-সব সময় প্রার্থনার জন্য অন্যের নয়, নিজের আসন ব্যবহার করতে হবে


-নিয়মিত স্যানিটাইজার বা সাবান-জল দিয়ে হাত ভালো করে ধুতে হবে।


আলিঙ্গন বা করমর্দনের মতো শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। 


-বাড়িতে অতিথি এলে তাঁরা চলে যাওয়ার পর বাড়ি ও মেঝে স্যানিটাইজ করুন। 


-ভিড়ে ঠাসা জায়গায় যাবেন না। আর খুব প্রয়োজন হলে জোড়া মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ফেস শিল্ডের ব্যবহার করুন। 


-পশু বলিদান, এরপর প্যাকিং ও আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের কাজের দায়িত্ব পরিবারের কোনও একজন সদস্যের নেওয়া উচিত। সবাই দায়িত্ব ভাগাভাগি না করাই ভালো। 


 এ ধরনের সতর্কতামূলক বিধি পালনের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়িয়ে উৎসব উদযাপন করা যেতে পারে।