নয়াদিল্লি: পঁয়তাল্লিশ বছর পর ফের চিনা হামলায় ভারতীয় সেনার মৃত্যু। লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের হামলায় অন্তত ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা জবাবে ৪৩ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। লাদাখে প্রকতৃ নিয়ন্ত্রণরেখায় তৈরি হওয়া উত্তেজনার রেশ পড়তে পারে বাজারেও।

ভারতে সমস্তরকম চিনা সামগ্রী নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ডাক দিল আরএসএস অনুমোদিত সংস্থা স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ। দেশে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই ভারত থেকে চিনা সামগ্রী হটাও অভিযানে নামছে মঞ্চ৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্তরকম টেন্ডারে চিনের কোনও সংস্থার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ (এসজেএম)।

স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন বলেছেন, চিনা সামগ্রী বর্জন করার এটাই সেরা সময়। পাশাপাশি ক্রিকেটার, অভিনেতা-সহ সমস্ত ভারতীয় তারকাদের চিনা পণ্যের প্রচার করার আর্জিও জানিয়েছেন মহাজন।

লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন বিবাদের জেরে ব্যবসায়িক সংগঠন –দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-ও দেশে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। ৫০০ চিনা পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করেছে তারা। সংস্থার দাবি, চিন সুযোগ পেলেই নিজের রূপ দেখায়। এটা ভারতের জন্য একেবারেই ঠিক নয়৷

দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর তালিকায় রয়েছে খেলনা, ফার্নিশিং ফ্যাব্রিক, টেক্সটাইল, বিল্ডার হার্ডওয়্যার, ফুটওয়্যার, গারমেন্টস, রান্নাঘরের জিনিস, লাগেজ, হ্যান্ড ব্যাগ, কসমেটিক্স, গিফট, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র, ঘড়ি, রত্ন ও গয়না, হেল্থ প্রোডাক্ট, মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ, দিওয়ালি ও হোলির জিনিস-সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের প্রায় ৫০০ সামগ্রী৷ বর্তমানে চিন থেকে ভারতে প্রতি বছর ৫.২৫ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়৷