কলকাতা: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত বেড়ে ৬১, আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি জানান, রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬১ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫৯। এখনও পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ-মুক্ত হয়েছেন ২১৮ জন।


মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনার চিকিৎসাধীন ৯০৮ জন। আক্রান্তের নিরিখে সুস্থ হয়েছেন ১৭ শতাংশ।

মুখ্য সচিবের দাবি, রাজ্যে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় মৃত্যুর হার ১.৪৭ শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠার হার প্রতি ১০ লাখে ১৩.৯৮ শতাংশ।

এই মুহূর্তে সরকারি কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৮৬০জন। এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭৫৫জন।

মুখ্যসচিব বলেন, কোভিড সংক্রান্ত তথ্য রিপোর্টিংয়ের যে পদ্ধতি ছিল, তা খুব জটিল। তার ফলেই বেশ কিছু তথ্য এবং পরিসংখ্যান নথিভুক্ত হয়নি। আর সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে তথ্যের একটা পার্থক্য। তিনি জানিয়েছেন, সেই সমস্যা দূর করা হয়েছে এবং সামগ্রিক তথ্য সংকলিত করা হয়েছে।

আজ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ও অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া আর কী কী ক্ষএত্রে ছাড় মিলবে তা নিয়েও কথা বলেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা।

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পরিসংখ্যান দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যসচিব জানান, কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া রাজ্যে খুলবে স্বতন্ত্র দোকান। খুলছে না শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকান। পাড়ায় চায়ের দোকান খুললেও ভিড় করা যাবে না। চা কিনে বাড়িতে গিয়ে চা খেতে হবে। কোথাও ভিড় জমানো যাবে না।

সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, ২৫% কর্মী নিয়ে বেসরকারি সংস্থায় কাজ চালানো যাবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবে। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে যাওয়ার জন্য চালকের সঙ্গে ২ আরোহী থাকতে পারবে।