নয়াদিল্লি: ভারতে ফাইভ জি নেটওয়ার্ট চালু করার বিষয়ে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করল ভারতী এয়ারটেল ও টাটা গ্রুপ। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যেই দেশে চালু হয়ে যাবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা। 


কেন্দ্রীয় সরকার দেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালু করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালু করার পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে এয়ারটেল। এক্ষেত্রে সাহায্য করছে টাটা গ্রুপ। পরিকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস।


টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ফাইভ জি প্রোডাক্টস ও সলিউশনস আন্তর্জাতিক মানের। ওরান অ্যালায়েন্সের অন্যান্য পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে যে গুণমান বজায় রাখা হয়, ফাইভ জি-র ক্ষেত্রেও সেই গুণমান বজায় রাখা হচ্ছে। এয়ারটেলের বিস্তৃত ও বহুবিধ নেটওয়ার্ক বাণিজ্যিকভাবে প্রমাণিত। এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম মার্কেট ভারত। সেখানে ফাইভ জি চালু হলে ভারতের জন্য রফতানির সুযোগ আসবে।’


ভারতী এয়ারটেলের (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) এমডি ও সিইও গোপাল ভিত্তল জানিয়েছেন, ‘ভারতকে ফাইভ জি ও সংযুক্ত প্রযুক্তির গ্লোবাল হাব বানানোর জন্য  টাটা গ্রুপের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পেরে আমরা খুশি। বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও প্রতিভার সাহায্যে ভারত নিশ্চয়ই সারা বিশ্বের জন্য পরিষেবা দিতে পারবে। এর ফলে উদ্ভাবন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের গন্তব্য হয়ে উঠবে ভারত।’


টিসিএস-এর আধিকারিক এন গণপতি সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, ‘আমরা ফাইভ জি প্রযুক্তি নিয়ে আশাবাদী। আমাদের সামনে যে সুযোগ আসতে চলেছে, তাকে কাজে লাগাতে তৈরি আমরা। বিশ্বমানের নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত সুযোগ দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’


ও-রান অ্যালেয়ন্সের বোর্ড মেম্বার এয়ারটেল। তারা ভারতে ও-রান বেসড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে দেশের প্রথম টেলিকম সংস্থা হিসেবে হায়দরাবাদে লাইভ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফাইভ জি প্রদর্শন করে এয়ারটেল। টেলিকম বিভাগের দেওয়া স্পেকট্রামের মাধ্যমে দেশের প্রধান শহরগুলিতে ফাইভ জি ট্রায়াল শুরু হয়েছে।