নয়াদিল্লি: আজ ২১ জুন দিনটি পালিত হচ্ছে যোগ দিবস ও সঙ্গীত দিবস হিসেবে। এরই সঙ্গে আজ উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে বড় দিন ও সবচেয়ে ছোট রাত। ফলে আজকের দিনটি সবদিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।


প্রতি বছর দু’বার দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত দেখা যায়। জুনের ২০ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন হয় এবং ২০ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন হয়।


গত বছর থেকে করোনাভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ অনুষ্ঠানই হচ্ছে অনলাইনে। প্রকাশ্যে খুব কম অনুষ্ঠানই হচ্ছে। এবারও একই পরিস্থিতি। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই পালিত হচ্ছে দিনটি।


আজ পেট্রোলিয়াম ও ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আশাপ্রকাশ করেছেন, উদিত সূর্য রোগমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলবে। তাঁর ট্যুইট, ‘উত্তরায়ণ একটি শুভ মুহূর্ত। সূর্যের উপাসনা, শরীর ও মনে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার এবং প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য এই দিনটি উপযুক্ত। সূর্যের উপাসনা করা ঐতিহাসিকভাবে ঐতিহ্যের অঙ্গ। বিশ্বের অনেক দেশের ঐতিহ্যের অঙ্গ সূর্য উপাসনা।’


ধর্মেন্দ্র প্রধান ট্যুইটারে আরও লিখেছেন, ‘সারা বিশ্ব আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করছে। যোগাসনের যে বিশ্বব্যাপী আবেদন রয়েছে, তার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর প্রথম ভাষণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানকে অবলম্বন করার আহ্বান জানানোর পর থেকেই সারা বিশ্ব ভারতের উপহারকে আঁকড়ে ধরেছে।’


গত বছর ২১ জুন ছিল বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল এই সূর্যগ্রহণ। রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড থেকে দেখা গিয়েছিল ‘রিং অফ ফায়ার’। এবার অবশ্য কোনও মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যায়নি। সাধারণভাবেই পালিত হচ্ছে দিনটি। উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে বড় দিন হলেও, করোনা অতিমারীর কারণে অনেক দেশেই এখনও বিধিনষেধ জারি রয়েছে। ফলে সংক্রমণ এড়াতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানই ভরসা।