নয়াদিল্লি: গঙ্গাকে দূষণ থেকে বাঁচাতে তৈরি বিলের খসড়ায় সশস্ত্র বাহিনী রাখার প্রস্তাব রাখা হল যাদের এই গুরুত্বপূর্ণ নদীকে নোংরা, দূষিত করলে গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকবে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে মাছ ধরা থেকে গঙ্গার ধারে বেআইনি নির্মাণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ বছরের কারাবাস ও জরিমানার সুপারিশও রয়েছে ওই খসড়ায়। সেটি আলোচনার জন্য কেন্দ্রের নানা মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। আইন প্রয়োগ করার জন্য ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল ও একটি ন্যাশনাল গঙ্গা রিজুভেনেশন অথরিটি গড়ার কথাও বলা হয়েছে তাতে।
এক সরকারি কর্তা বলেন, গঙ্গার স্রোতে বাধাদান থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাছ শিকারের মতো অপরাধ করে যারা দূষণ ছড়ায়, তাদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকবে সশস্ত্র গঙ্গা রক্ষা কোর কর্মীদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের জোগাড় করবে, নিয়োগ করবে ন্যাশনাল গঙ্গা রিজুভেনেশন অথরিটি।
বর্তমান পরিবেশ রক্ষা আইন ২৫০০ কিমি দীর্ঘ গঙ্গার আগের চেহারায় ফিরিয়ে রক্ষা করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলে জানানো হয়েছে খসড়ায়।
বিলে যে অপরাধগুলিকে ধর্তব্যযোগ্য বলা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে আছে নির্মাণ কাজের ফলে গঙ্গার বয়ে চলার পথে বাধা দেওয়া, গঙ্গা ও তারা শাখা নদীগুলির সংলগ্ন জমি থেকে বাণিজ্যিক কারণে জল তোলা, সেখানে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাছ ধরা, অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে ফেলে দেওয়া।
২০১৬-য় এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গিরিধর মালব্যের নেতৃত্বাধীন কমিটি একটি খসড়া বিল পেশ করে গঙ্গার সুরক্ষায়। সেটি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি হয়। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি ক্যাবিনেট নোট বিলি করেছে যাতে ওই খসড়া বিলের একটি সংশোধিত অংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।