নয়াদিল্লি: করোনা চিকিৎসার ওষুধ বাজারে আনতে চলেছে বলে দাবি করল দেশের প্রথম সারির বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়োকন। কী সেই ওষুধ? ইটোলিজুমাব। কোভিড সংক্রমণে রোগীর শরীরে যে তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় তাকে কমাতে এই ওষুধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই দাবি ইটোলিজুমাবের নির্মাতা সংস্থা বায়োকনের।

কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার ভি জি সোমানি জানিয়েছেন, একমাত্র সংকটাপন্ন কোভিড রোগীদের চিকিৎসাতেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। জরুরি অবস্থায় তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদেরও নির্দিষ্ট ডোজে ইটোলিজুমাব দেওয়া যেতে পারে। বেঙ্গালুরুর সংস্থা বায়োকন ও কিউবার সেন্টার ফর মলিকিউলার ইমিউনোলজি সায়েন্স রিসার্চ ফার্মের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ওষুধ। মূলত সোরিয়াসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই ওষুধ। সোরিয়াসিস মূলত ত্বকের সংক্রমণজনিত রোগ। এতে আক্রান্ত হলে ত্বকে জ্বালা করে। সঙ্গে থাকে গোল চাকা চাকা দাগ। সোরিয়াসিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে যে প্রদাহ তৈরি হয় তাকে আটকাতে পারে ইটোলিজুমাব। এই ওষুধের বিশেষ গুণকেই কোভিড থেরাপিতে কাজে লাগাতে চাইছেন চিকিৎসকেরা।

বায়োকনের গবেষকরা বলেছেন, ইটোলিজুমাব সাইটোকাইন প্রোটিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এই সাইটোকাইন প্রোটিনের বেশি ক্ষরণেই শরীরে তীব্র প্রদাহ তৈরি হয়। বায়োকনের গবেষকরা বলছেন, সোরিয়াসিসের এই ইঞ্জেকশন কোভিড রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে তাঁদের প্রদাহজনিত রোগ কমছে। ফলে তীব্র শ্বাসকষ্টও কমছে। ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না রোগীদের।

বায়োকন থেকে জানানো হয়েছে, এই ইটোলিজুমাব ইঞ্জেকশনের প্রত্যেক ভায়ালের দাম পড়বে ৮ হাজার টাকা। সংস্থার অন্যতম প্রধান কিরণ মজুমদার সাউ বলেছেন, ‘যতদিন না করোনার টিকা বেরচ্ছে, ততদিন চিকিৎসা পদ্ধতিকে শক্তিশালী রাখতেই হবে। সারা বিশ্ব জুড়েই চেষ্টা চলছে অতিমারী সারিয়ে তোলার ওষুধ আবিষ্কার করার।’