কলকাতা: "করোনাকে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহামারী চালাচ্ছে বিজেপি। কালা আইন দিয়ে সবার মুখ বন্ধের চেষ্টা চলছে।" আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজনৈতিক-মহামারী করছেন মমতাই।


টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘করোনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহামারী। দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহামারী চালাচ্ছে বিজেপি। সবার মুখ বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। কালা আইন দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার মিথ্যাচার করছে। ছাত্ররা থাকলে, এই লড়াইয়ে আমরা জিতবই। একুশে দেশবাসীকে স্বাধীনতা ফেরাবে বাংলা। অনেকে ভয়ে কথা বলে না, আমরা বলব।’


জবাবে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শুধু লকডাউন করে লাভ হবে না। লকডাউন মানতে হবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও। তাঁর দাবি, ‘রাজ্যের ব্যর্থতায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য দেওয়ায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, ‘রাজনীতি মহামারী করেছেন মমতাই। রাজনীতি না করে করোনার বিরুদ্ধে লড়ুন। বিজেপি পাশে থাকবে।


পরীক্ষা-বিতর্ক নিয়েও মমতাকে আক্রমণ করেন দিলীপ। বলেন, ‘কেন্দ্র বলেছে, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে চায়। শিক্ষার স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত সবার মানা উচিত। দিলীপের মতে, ‘পরীক্ষা না হলে অনেক পড়ুয়া বঞ্চিত হবেন। রাজনীতি নয়, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ ভাবুন।


এই প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর দেওয়াল ভাঙ্গার ঘটনাও টেনে আনেন বিজেপি নেতা। বলেন, ‘শিক্ষার জলাঞ্জলি দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। তা না হলে বিশ্বভারতীতে দেওয়াল ভাঙত না। মমতা নিজেই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান। পরীক্ষা ব্যবস্থা সামলাতে না পেরে দায় এড়ানোর চেষ্টা। পড়ুয়াদের যাতায়াত-থাকার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকেই।’


জিএসটি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করবেন না। পরে সব ব্যবসায়ীই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করেছেন।’


মমতার জন্যই কেন্দ্রের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে রাজ্যবাসী বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাজ্য। রাজনৈতিক চমক দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন মমতার হাতের বাইরে। চাকরির সুযোগ নেই, বুঝে গিয়েছে পড়ুয়ারা।’


রাজ্য সরকারি কর্মীদের দুরবস্থা নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘মমতা কেন সরকারি কর্মীদের ডিএ দিচ্ছেন না? কেন রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না? ‘কিছু না করে সবকিছুর বিরোধিতা করছেন মমতা বলেও দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।


দিলীপের দাবি, ‘রাজ্যবাসীই স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ভুলে গিয়েছেন! সে জন্যই বিজেপি গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়েছে। বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি আজ ধ্বংসের মুখে। একুশে যোগ্য জবাব মানুষই দেবে।’


দিলীপের প্রশ্ন, ‘লকডাউনের মধ্যে টিএমসিপির কর্মসূচি কেন? ইচ্ছে করে রাজ্যে পুর নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।